সম্পত্তির লড়াইয়ের জেরে মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পরও বাবার মরদেহ দাফন করতে দিলো না সন্তানরা। জানাজা আর দাফনের বদলে বাবার রেখে যাওয়া সম্পদের ভাগাভাগি নিয়ে চলছিলো সন্তানদের দ্বন্দ।
মৃত বাবা ফিরোজ ভূইয়া পেশায় ছিলেন ব্যাংকার। গেলো শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি বাড্ডায় নিজ বাসায় মারা যান। শনিবার সন্ধ্যাতেও বাড়ির নিচ তলায় পড়েছিলো তার মরদেহ।
মৃতের শরীরে পচন ধরার পর এলাকাবাসী চাঁদা তুলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে।
গেলো শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত আটটার দিকে পুলিশ এসে মরদেহ নরসিংদী গ্রামের বাড়িতে পাঠায়।
মৃতের স্ত্রী আর বড় সন্তানের অভিযোগ করেছেন, সব সম্পত্তি লিখে নিয়ে বাবা সাবেক ব্যাংকার ফিরোজ ভূইয়াকে হত্যা করেছে ছোট ছেলে।
বড় ছেলে আরো অভিযোগ করেন, বাড্ডার পাঁচতলা বাড়ি ও বাবা-মায়ের অবসরের এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীর আরও একটি বাড়ি নিজের নামে লিখে নিয়েছে ছোট ভাই।
মায়ের অভিযোগ করে জানান, সন্তানের নির্যাতনের ভয়ে স্বামীর মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করতে না পারায় তিনি প্রতিবেশীর আশ্রয় নেন।
এদিকে, ছোট ছেলে আবির জানান, তাদের বাবা ফিরোজ ভূইয়া তাকে সব সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন।
নিচ তলায় যখন তার নিথর মরদেহ, বাড়ির ওপরের তলায় চলছিলো সম্পত্তি নিয়ে দুই সন্তানের কাড়াকাড়ি। সালিশে বসেছে এলাকাবাসি। এর মীমাংসা না হওয়ায় এলাকাবাসী চাঁদা তুলে শীতাতপ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসে। পরে অ্যাম্বুলেন্সে ফিরোজ ভূইয়ার মরদেহ রাখা হয়।
এদিকে, বাড্ডা থানার ওসি জানান, হত্যার অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।
তাসনিয়া রহমান