আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ট্রুডোর দেশে ৩৪ বছর পর জরুরি অবস্থা

ট্রুডোর দেশে ৩৪ বছর পর জরুরি অবস্থা

ট্রাক চালকদের অবরোধে অচল কানাডা। প্রায় ৩৪ বছর পর দেশটিতে জারি হল জরুরি অবস্থা। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ট্রাক চালকদের বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই ঘোষণা দেয়া হয়। গেলো ১৫ জানুয়ারি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে চলাচলকারী ট্রাক চালকদের জন্য করোনার টিকা সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন। এর আওতায় কানাডার যে ট্রাক চালকেরা টিকা নেননি, তাদের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশে ফেরার পর প্রতিবারই থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। 

এরপর থেকেই ট্রাক চালকদের জন্য জারি করা করোনার টিকা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবিতে অটোয়ায় বিক্ষোভ শুরু করে। ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে চলা এই বিক্ষোভে অটোয়ার জনজীবন স্থবির হয়ে পরে। শহরের কেন্দ্রস্থলের বেশিরভাগ অংশে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেয়। তাদের থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  প্রায় বাধ্য হয়েই আগামী ত্রিশ দিনের জন্য দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

এর আগে ১৯৮৮ সালে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল কানাডায়। ট্রুডোর ভাষায় এই ট্রাক অবরোধের জেরে সারাবিশ্বে কানাডার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গোটা ট্রাক চালকদের বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ঐ দেশের সরকার।

উল্লেখ্য, ট্রাক চালকদের বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক সপ্তাহ আগেই রাজধানী অটোয়াতে জারি করা হয়েছিলো জরুরি অবস্থা। তবে তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ট্রাক চালকদের জন্য টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করতেই 'ফ্রিডম কনভয়' নামে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। বিক্ষোভকারী ট্রাক চালকরা রাজধানীর রাস্তা অচল করে দিনরাত হর্ন এবং সাইরেন বাজিয়ে চলেছেন। টিকা এবং লকডাউন বিরোধী আরও কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ট্রাক চালকদের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছেন।

বিক্ষোভকারীরা কানাডার পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার পরিবার রাজধানী ছেড়ে অজানা স্থানে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। জানা গেছে, যদি কেউ বিক্ষোভকারীদের সাহায্য করতে আসে এবার তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ট্রুডোর | দেশে | ৩৪ | বছর | জরুরি | অবস্থা