আর্কাইভ থেকে খেলাধুলা

ছয় পাকিস্তানি খেলোয়াড় জঙ্গিদের কবলে

ছয় পাকিস্তানি খেলোয়াড় জঙ্গিদের কবলে
জঙ্গিদের কবলে পড়েছে পাকিস্তানের ছয় ফুটবলার! বালুচিস্তানের দেরা বুগতি জেলার সুই শহরে ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গিয়েছিল একটি ফুটবল টিম। অধিকাংশেরই বয়স ১৭ থেকে ২০। তাদের আর মাঠে নামা হয়নি। একদল জঙ্গি অপহরণ করেছে তাদের। ছয় ফুটবলারের অপহরণের ঘটনায় পাকিস্তানের সব মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সমালোচনাও শুরু হয়েছে সরকারের। অপহৃতদের উদ্ধার করতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বিবৃতি দিয়েছেন, পুরো অঞ্চল ঘিরে ফেলা হয়েছে। অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সংগ্রহ করা হচ্ছে তথ্যও। খবর ডন, আরব নিউজ পাকিস্তানের মন্ত্রীর অভিযোগের তির বালুচিস্তানের জঙ্গি সংগঠন ‘বালুচ রিপাবলিকান আর্মি’-র দিকে। সরফরাজ বলেন, যে কোনও মূল্যে জঙ্গিদের হাত থেকে এই ছয় ফুটবলারকে উদ্ধার করাই একমাত্র লক্ষ্য। সর্বপ্রকার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি, ওরা সুস্থ রয়েছে। সকলকে দ্রুত উদ্ধার করতে সফল হব আমরা। শনিবার একটি ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলতে বালুচিস্তানের দেরা বুগতি জেলার সুই শহরে ১৬ জন ফুটবলারকে নিয়ে দলটি যাচ্ছিল। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টিমবাস দাঁড় করায় জঙ্গিরা। অপহরণ করা হয় ছয় ফুটবলারকে। আমির হোসেন নামে ২০ বছরের এক অপহৃত ফুটবলারের বাবা জাকির হোসেন এএফপিকে বলেন, ফুটবল খেলা তো অপরাধ নয়। আমার ছেলে খুব ভাল খেলে। এই কারণেই কি ওকে অপহরণ করা হল? আমাদের পুরো পরিবার আতঙ্কের মধ্যে প্রতিটি মুহূর্ত কাটাচ্ছে। আমিরকে অপহরণ করার পর থেকে জঙ্গিদের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগও করা হয়নি। জানি না ও সুস্থ আছে কি না। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে এই ধরনের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপরে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। একাধিক ক্রিকেটার আহতও হয়েছিলেন। এ বারের ঘটনা বালুচিস্তানে। আয়তনের দিক থেকে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় অঞ্চল বালুচিস্তান। কিন্তু জনসংখ্যা সবচেয়ে কম। এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ রয়েছে। অভিযোগ আধুনিক সুবিধে থেকে তাদের সবসময় বঞ্চিত করে রাখা হয়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে উন্নতি হলেও বালুচিস্তানে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায় না।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ছয় | পাকিস্তানি | খেলোয়াড় | জঙ্গিদের | কবলে