দেশে বিভিন্ন সময় নানা কায়দায় ইয়াবা পাচারের কথা শোনা গেলেও এবার নতুন এক কায়দার তথ্য দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে তিন বোনকে আটকের পর র্যাব জানায়, তারা সবজির আড়ালে ইয়াবা পাচার করতেন।
আটকরা হলেন, ফাতেমা বেগম, হালিমা বেগম ও আসমাউল হুসনা। শুক্রবার র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার তাদের আটকের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তিন বোনের হাতে থাকা শপিং ব্যাগে কচুর মুখীর ভেতরে বিশেষ কায়দায় রাখা ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
নুরুল আবছার বলেন, আটকরা আপন তিন বোন। এর মধ্যে ফাতেমা মাদক কারবারি ও পাচারের মূলহোতা। তারা মোট আট ভাই-বোন। সবাই ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত। তারা ইয়াবা পাচারের সময় ছোট বাচ্চা সঙ্গে রাখতেন, যাতে কেউ সন্দেহ না করে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেন মনে করেন পরিবারের সদস্যরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করছেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, তারা মাদক বহনে অত্যন্ত দক্ষ। আইন প্রযোগকারী সংস্থার সমস্ত চেকপোস্ট এড়াতে একটি অন্য পথ অনুসরণ করে ইয়াবা পাচার করতেন। কক্সবাজার থেকে চকরিয়া পর্যন্ত আসার পর পুলিশ ও অন্যান্য চেকপোস্ট এড়াতে ফাশিয়াখালী-লামা-আলীকদম-বিলছড়ি-লোহাগাড়া পথ অনুসরণ করতেন।
পরে তারা সবাই সাতকানিয়ার কেরানিরহাটে এসে দুই দলে বিভক্ত হয়ে যেতেন। একটি দল নিয়মিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অনুসরণ করত, অন্যটি কেরানিরহাট-বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা-রাঙ্গুনিয়া রুট অনুসরণ করত এবং হাটহাজারী পর্যন্ত কোনো চেক ছাড়াই পৌঁছাত।
ইয়াবা পরিবহনের বিশেষ কৌশল সম্পর্কে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রথমে তারা কচুর মুখীর উপরের অংশ কেটে ভেতরে খালি করে ইয়াবা লুকিয়ে রাখতেন, তারপর পলিথিনের ব্যাগে মুড়িয়ে ইয়াবা রাখতেন। তারপর টমেটোসহ অন্যান্য শাকসবজি ব্যাগে উঠিয়ে নিতেন।
তিনি বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে স্বল্পমূল্যে ইয়াবা কিনে পরে তা বেশি মুনাফা লাভের আশায় চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক কারবারিদের নিকট পাচার করে আসছেন। তারা সবসময়ই নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে ইয়াবা পাচার করে আসছেন। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৫৬ লাখ টাকা।
এসআই/