সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফিক্সিং নিয়ে কানাঘুষা হয়েছিলো। বিশেষ করে সিলেট পর্ব থেকে। বিতর্কটা উস্কে দেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের নেতৃত্ব হারানো মেহেদি মিরাজ। তিনি নাম না করে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তোলেন। ফিক্সিং নিয়ে অতীতে অনেক কিছু হয়েছিলো এই টুর্নামেন্টে।
দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার শাস্তিও পেয়েছেন। তবে এবারের আসরে সেভাবে ফিক্সিং বিতর্ক ওঠেনি। আসরের শেষের দিকে একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ঘিরে শুরু হয় আলোচনা।
গণমাধ্যমটি দাবি করে, বিপিএলের শুরুতে সিলেট সানরাইজার্সের নেতৃত্বে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে নাকি ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। তিনি আবুধাবি টি-টেন, বিসিএলের ওয়ানডে ফরম্যাটের আসর ও এবারের বিপিএলে ফিক্সিংয়ে জড়িত। এর আগেই অবশ্য মোসাদ্দেককে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে রবি বোপারাকে দায়িত্ব দেয় সিলেট কর্তৃপক্ষ। গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, মোসাদ্দেক সৈতককে বেশ জোরালোভঅবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)। এখনও তদন্ত চলছে।
তবে গতকাল (শুক্রবার) ফাইনাল ম্যাচ শেষে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, 'তদন্ত হওয়ার আগে কোনো অভিযোগ তো থাকতে হবে। প্রথম কথা হচ্ছে আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। আর এটা আমাদেরও দেখার ব্যাপার নয়। এটা দেখার জন্য আমাদের দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট-আকসু আছে, আইসিসিরও আকসু আছে। কোথাও থেকে আমাদের কাছে কোনো কিছু আসেনি। আমাদের সমস্যা হচ্ছে কি, আমরা নিজেরাই আমাদের বদনাম করি, এটাই হলো আমাদের সমস্যা। বিপিএল বলেন আর অন্য যাই বলেন। অন্য সব দেশে কিন্তু ওরা খারাপ হলেও বলে না। খালি প্রশংসাই শুনি।'
হাসিব মোহাম্মদ