জরুরি অবস্থার মধ্যেও বিধিনিষেধবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন কানাডার ট্রাকচালকরা। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী অটোয়ায় আবারও জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হলে ১০০ জনকে গ্রেফতার করে কানাডার পুলিশ।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার গেলো ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে চলাচলকারী ট্রাকচালকদের জন্য করোনার টিকাসংক্রান্ত আদেশ জারি করেন। এর আওতায় কানাডার যে ট্রাকচালকেরা টিকা নেননি, তাদের ট্রাক নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশে ফেরার পর প্রতিবারই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেন কানাডার সরকার। এর মধ্যে টিকা না নেয়া ট্রাকচালকরা বেশি বিপাকে পরেছেন। সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারায় তাদের উপার্জন একদম বন্ধ হয়ে আছে। এরপরেই ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে আন্দোলনে নামে ট্রাকচালকরা। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা এই বিক্ষোভের মুখে কানাডার রাজধানী অটোয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, টিকাবিরোধী আন্দোলনকারীদের দমনে আরও কঠোর হওয়ার ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার। জরুরি অবস্থা জারির পর শুক্রবার কিছু পুলিশ কর্মকর্তা অভিযান শুরু করেন। তীব্র শীত উপেক্ষা করে অন্যান্য দিনের মতো এদিনও রাজধানী অটোয়ায় জড়ো হন কয়েকশ ট্রাকচালক। আন্দোলনকারীদের দমাতে হাজির হন পুলিশ সদস্যরাও। শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ,জানায় পুলিশবাহিনী।
গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন সপ্তাহ ধরে চলা ট্রাকচালকদের টিকাবিরোধী বিক্ষোভ যখন শেষ হতে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই ঘটল এ ঘটনা।
গেলো বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অটোয়ায় জড়ো হন কয়েকশ ট্রাকচালক। করোনার টিকা ও বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে তুলে ধরেন নিজেদের কঠোর অবস্থান। পার্লামেন্ট ভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করে, লাগাতার গাড়ির হর্ন বাজিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। আন্দোলনকারীদের দমাতে গাড়িবহর নিয়ে হাজির হন পুলিশ সদস্যরাও। চলে ধরপাকড়। এদিনও কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।
গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, বিক্ষোভকারীরা দেশের নাগরিকদের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ও জননিরাপত্তার স্বার্থে তাদের দ্রুত হটানো উচিত বলে জানান তিনি।
অনন্যা চৈতী