চরম তাপপ্রবাহের মধ্যে একসঙ্গে পাঁচটি বড় দাবানলের মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে গ্রিস। রাজধানী এথেন্স থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার উত্তরের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাবানলের ধোঁয়া ও জ্বলন্ত কাঠের গন্ধ ইতোমধ্যে এথেন্সের কেন্দ্রেও ছড়িয়ে পড়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা চেয়েছে গ্রিস সরকার।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রোববার দেশটির কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, সপ্তাহজুড়ে এমনই চরম আবহাওয়া বিরাজ করবে।
গ্রিসের জলবায়ু সংকট ও নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী ইয়ানিস কেফালোজিয়ানিস বলেছেন, "আমাদের দমকল কর্মীরা আহত হয়েছেন, মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে, সম্পদ পুড়ে গেছে এবং বনাঞ্চল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে প্রবল বাতাস দাবানলকে আরও ছড়িয়ে দিচ্ছে।"
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইইউ সিভিল প্রোটেকশন মেকানিজম থেকে অতিরিক্ত ছয়টি দমকল বিমান চেয়েছে গ্রিস।
আতিকা অঞ্চলের এফিদনসে শনিবার শুরু হওয়া দাবানল দ্রুত পাশের দ্রোসোপিজি, ক্রিওনেরি এবং আজিওস তেফানোসে ছড়িয়ে পড়ায় ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দমকল বিভাগ জানিয়েছে, প্রধান অগ্নিমুখ তারা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে, তবে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আগুন জ্বলছে এখনও। হেলিকপ্টার ও পানি ছোড়া বিমান নিয়ে ওই অঞ্চলে কাজ করছেন দুই শতাধিক দমকল কর্মী।
কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিয়া দ্বীপ পিসোনার কাছে দ্বিতীয় একটি দাবানল ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে গেছে এবং দ্রুত আফ্রাতির দিকে এগোচ্ছে। আগুনে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার পুড়ে যাওয়ায় পুর্নোস ও মিস্ট্রোসের মতো কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এসি//
