মাদক মামলায় কারাগারে থাকা আসামির স্ত্রীর কাছ থেকে ঘুষ দাবি ও মাদককারবারে সহযোগিতা করার অভিযোগে রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে চারঘাট থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিডিয়া সেলের মুখপাত্র রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ওসি মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের এসপির নাম করে মাদক মামলার আসামি আব্দুল আলিমের স্ত্রী সাহারা বেগমের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অডিও ফাঁস হয়। ওই অডিওতে তিনি অর্থ দাবির পাশাপাশি মাদক কেনাবেচার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে মাদক কারবার নির্বিঘ্ন রাখতে ডিবির এক ওসিকে বদলি করতে দুই লাখ টাকা দাবি করেন।
এ বিষয়ে এদিন রাজশাহী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগের অনুলিপি সরাসরি ও ডাকযোগে পুলিশের আইজিপি, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ও স্থানীয় সংবাদকর্মীদের পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের অনুলিপির সঙ্গে ৬ মিনিটি ৫০ সেকেন্ডের ওসির একটি অডিও রেকর্ডও পাঠানো হয়েছে।
আসামি আব্দুল আলিম কারাগারে আছেন। তার বাড়ি চারঘাট থানার চামটা গ্রামে।
অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ করেন, গেলো ১৩ সেপ্টেম্বর চাঁদাবাজির অভিযোগ করতে চারঘাট থানার ওসি থানা কোয়ার্টারে নিজ কক্ষে তাকে ও তার ছেলে রাব্বিকে ডেকে নেয়। এর পর তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে অর্থ দাবি করেন ওসি।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিডিয়া সেলের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, আমরা অডিও রেকর্ডসহ একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ যাচাই-বাছাই চলছে। ঘুষ চাওয়ার ঘটনা যদি সত্য হয় তবে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ওসিকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।