কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বারোমাসিয়া নদীর উপর ভাঙা বাঁশের সাঁকো স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করছেন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী।
রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিষামত শিমুলবাড়ী এলাকায় বারোমাসিয়া নদীর উপর প্রায় আড়াইশ ফিট লম্বা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি গত দেড় দুই মাস আগেই বারোমাসিয়া নদীর তীব্র স্রোতে ভেঙে যাওয়ায় চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে টানা দেড় দুই মাস ধারে সাঁকো পারাপার হতে না পাড়ায় চরম দুর্ভোগ পড়েছেন ওই এলাকার হাজারও মানুষ। অনেকেই বাধ্য হয়ে নারী-পুরুষসহ কমলমতি শিশুরা এক বুক পানি দিয়ে নদী পারাপার করছেন সেখানকার মানুষজন। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দেখে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলামের উদ্যোগে এলাকাবাসী মিলে গ্রামে গ্রামে বাঁশ সংগ্রহ করে ভাঙা সাঁকোর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। টানা ১৫ দিন ধারে ভাঙা সাঁকোটি পাঁচ ছয়জন শ্রমিক দিয়ে নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে সাঁকো নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় মাসুদ রানা, জাহাঙ্গির আলম ও শুশীল চন্দ্র রায় জানান, গত দেড় দুই মাস আগেই আড়াইশ ফিট লম্বা বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় আমরা এলাকাবাসী সাঁকো পারাপার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আমরা এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছি। আমাদের দুর্ভোগ কমাতে নতুন ভাবে একটি সাঁকো নির্মাণে সহযোগিতা করছেন ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম। আর মাত্র দুই এক দিনের মধ্যে সাঁকো নির্মাণের কাজ শেষ হলে আমরা চলাচল করতে পারবো। এলাকাবাসী আরও জানান, বারোমাসিয়া নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
কিষামত শিমুলবাড়ী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর বারোমাসিয়া নদীর উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করতে হয়। এলাকাবাসীসহ আমার নিজস্ব উদ্যোগে গত ১৫ দিন ধারে সাঁকো নির্মাণের করছি। কারণ এই সাঁকো দিয়ে স্কুলকলেজের শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ পারাপার করেন। কিন্তু এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ব্রিজ নির্মাণের বাদী করলেও স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারি ভাবে ব্রিজ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তিনি আরও জানান আমি নির্বাচিত হওয়ার পর এ নিয়ে তিনবার বর্ষার পরপর ভাঙা সাকোটি পূর্ণ নির্মাণ করতে হয়। বছরের পর বছর ধারে স্থানীয়দের দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে এ জনপ্রতিনিধিও একটি নতুন ব্রিজের দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, সাঁকো নির্মাণে সহযোগিতাসহ যোগিতা
এএম/