নওগাঁর বদলগাছীতে জেসমিন আক্তার সুমি (২৬) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সোহেল রানার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কেশাইল হঠাৎপাড়া গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমি ওই গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বদলগাছী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, ঘরে স্ত্রী ও দুই বছরের সন্তান থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন সোহেল। বিষয়টি জানতে পেরে সুমি তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময়ই ঝগড়া হতো। তাই চাকরি করে নিজে স্বাবলম্বী হতে চেয়েছিলেন সুমি। বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার দিনগত রাতে স্ত্রীকে বেদম মারপিট করেন সোহেল। এরপর সকালে তাদের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে পেঁচানো ওড়নায় সুমির মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়।
গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের খবরে সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) জয়ব্রত পাল। এনিয়ে গ্রামে তোলপাড় শুরু হলে ঘটনার পর পালিয়ে যান সুমির স্বামী সোহেল। তিনি বদলগাছী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কার্যসহকারী পদে কর্মরত।
ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, সকালে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী সোহেল পলাতক রয়েছে। সোহেলকে গ্রেপ্তার গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত।