হিমাগারে কয়েক দফা সিন্ডেকেটের কারণে বেড়েছে আলুর বাজার দর। কৃষক পর্যায় থেকে হিমাগারে সংরক্ষণ পর্যন্ত মিলেছে সিন্ডিকেটের খোঁজ। এজেন্ট, ব্যাপারী আর হিমাগার কর্তৃপক্ষের কারসাজিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিঘ্ন ঘটছে বলে দাবী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জানের।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নীলফামারীর একটি হিমাগারে অভিযান শেষে এই মহাপরিচালক জানান, বেশ কয়েকটি জেলার হিমাগার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি আলুতে সর্ব্বোচ্চ খরচ হয়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকা। কিছু দিন আগেও ২২ থেকে ২৪ টাকায় আলু বিক্রি হলেও এখন আলুর দাম ছড়িয়েছে হাফ সেঞ্চুরিতে। তবে ভোক্তা অধিদপ্তরের কঠোর তদারকিতে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে এলেও আগামী দুই দিনের মধ্যে আলুর কৃত্রিম সংকট দেখা দিলে আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। আমাদের স্বয়ং সম্পূর্নতা অর্জনের পরেও ডিমের আমদানি করতে হয়েছে। এখন আমাদের দেশ আলু রপ্তানীকারক দেশ হয়েও আমদানির খাতায় নাম লেখাবে এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। নিজেদের উৎপাদিত পণ্য থাকার পরেও আমদানি করা হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সকলে। এজন্য হিমাগার পর্যায়ের সকল ব্যবসায়ীকে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২৬থেকে ২৭ টাকা দরে বিক্রি করার আহ্বান জানানো হলো।
অভিযান শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের সভাপতিত্বে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জান হিমাগার মালিক ও আলু ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় করেন। এতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি করতে বলা হয় ব্যবসায়ীদের।