কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারত ও কানাডার মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব নিরসনে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বিষয়ে ভারতকে বিশেষ কোনো ছাড় যুক্তরাষ্ট্র দেবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) তিনি এ কথা বলেন। মার্কিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুর দিকে রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটনে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় তার সম্মানে রাষ্ট্রীয় ভোজসভার আয়োজন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সময় বাইডেন জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার সুযোগ খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র। বছর না পেরোতেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতের প্রতি এমন কঠোর অবস্থানে গেল।
কানাডা-ভারত দ্বন্দ্ব নয়াদিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে কিনা— এমন এক প্রশ্নের জবাবে জ্যাক সুলিভান বলেন, কোনো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলো তা বিবেচনার বিষয় নয়, যুক্তরাষ্ট্র তার নীতিতে অটল থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। বিষয়টিকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং করতে থাকব। এখানে কোনো দেশকে বিশেষভাবে বিবেচনায় নেয়া হবে না।
জ্যাক সুলিভান বলেন, এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ ছাড় দেয়া হয় না। যে কোনো দেশ নির্বিশেষে আমরা আমাদের নীতিতে অটল থাকব।
এ সময় তিনি এ বিষয়ে কানাডাসহ অন্য মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে জানিয়ে সুলিভান বলেন, আমরা কানাডাসহ অন্য মিত্রদের সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করব, যেহেতু তাদের নিজস্ব আইন ও কূটনৈতিক ব্যবস্থার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
কানাডা ও ভারত দুই দেশের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে জ্যাক সুলিভান বলেন, আমরা কানাডা সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং আমরা ভারত সরকারের সঙ্গেও এ বিষয়ে নিয়মিত কথা বলছি।
এ সময় তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি।
এর আগে গত সপ্তাহের সোমবার কানাডা সরকার জানায়, গত জুনে কানাডার একটি শিখ মন্দিরের সামনে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর (৪৫) হত্যার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জড়িত এবং এ বিষয়ে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।
এএম/