আর্কাইভ থেকে অপরাধ

লালমনিরহাটের পুলিশ সুপারের ফেসবুক স্ট্যাটাস

লালমনিরহাটের পুলিশ সুপারের ফেসবুক স্ট্যাটাস

গত ১৪/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান সোয়া ৬টার দিকে লালমনিরহাট থানার কালীবাড়ি এলএসডি গোডাউন এর সামনে পাকা রাস্তার উপর মুদির দোকান এর নীচে কে-বা কারা এক দিনের এক নবজাতক শিশু মেয়ে বাচ্চাকে রেখে যায়। খবর পেয়ে লালমনিরহাট থানায় অফিসার ইনচার্জ  পুলিশ সুপার লালমনিরহাট মহোদয়ের নির্দেশে এসআই  মোঃ রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তারা  নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লালমিনরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

বিগত ৮ দিন যাবত লালমনিরহাট থানার নারী পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন নবজাতক শিশুকে নিরাপত্তার পাশাপাশি মায়ের স্নেহে সেবাযত্ন করেন।

আদালতের আদেশে ওই নবজাতককে আজ বৃহস্পতিবার( ২৩ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সুপার লালমনিরহাট এর উদ্যোগে 'শিশুমনি নিবাস' রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেন।

এই ঘটনার পর লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন..

‘কী যে সুন্দর ফুটফুটে একটা বাবূ! মাশাআল্লাহ!! তাকে দেখে ভাল না বেসে উপায় নেই!! ওর মা বাবা ফেলে দিয়েছে বলেই হয়তো ওর প্রতি মানুষের এত ভালবাসা!! প্রায় গোটা পঞ্চাশেক পরিবার ওকে নিতে চেয়েছে। নিজের সন্তানের মত লালন পালন করার জন্য। কিন্তু কাউকে দেয়ার কিংবা রাখার সুযোগ আমাদের নেই। তাই আজ (আদর করে আমার জুনিয়র সহকর্মীরা রেখেছে) ফাল্গুনীকে পাঠাতে হলো রাজশাহীতে।

গত‌ প্রায় দশদিন ধরে আমার নারী পুলিশেরা পালা করে চব্বিশ ঘন্টা তাকে অসীম মমতায় তাকে লালন‌ পালন করেছে। তাই আজ তাদের বুক ভেঙে যাচ্ছিল যেন!!

আমাকে কত কথা কত বার যে বলছিল, " স্যার, খুব মায়া পরে‌ গেছে!" " স্যার খুব লক্ষ্মী বাচ্চা, একটুও বিরক্ত করেনা, খাইয়ে দিলেই ঘুমিয়ে থাকে, শুধু প্রশ্রাব পায়খানা করলে একটু কাঁদে "‌....আরো কত কথা!! বুঝতে পারছিলাম ওদের আবেগের কারন। একবার দেখে আমারই ছাড়তে মন চাইছিল না!!

কেন বাবা মায়ের কাছে ঠায় হলোনা এই নিষ্পাপ শিশুটির!!

মায়ের বুকের ওম ওর কপালে কেন জুটল না??!!

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন লালমনিরহাটের | পুলিশ | সুপারের | ফেসবুক | স্ট্যাটাস