ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশিদের বহুল প্রত্যাশিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। প্যারিসের বিখ্যাত সেইন্ট ডেনিস ইউনিভার্সিটির বার্নার্ড মারি স্কয়ারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মিত হয়েছে এই স্মৃতিস্তম্ভ। ২০২৪ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে স্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সর্বসাধারণ। আগামী ৮ অক্টোবর এটি উদ্বোধন হবে।
গেলো শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্যারিসের স্থানীয় আয়েবা সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরির প্রধান সমন্বয়কারী কাজী এনায়েত উল্লাহ। দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে আগামী ৮ অক্টোবর উদ্বোধন হবে নবনির্মিত এই শহীদ মিনার।
এ বিষয়ে কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের অর্জিত এই মাতৃভাষা ও ইউনেস্কো স্বীকৃত আন্তর্জাতিক একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, এই স্মৃতিকে ধরে রাখতে নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশ প্রেম জাগ্রত করতে, ফ্রান্সের প্যারিসে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ অত্যন্ত আনন্দের।
স্থায়ী শহীদ মিনারের উদ্যোক্তা স্বরুপ সদিওল বলেন, এমন উদ্যোগ সমস্ত বাংলাদেশিদের জন্য গৌরবের, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি মেলে ধরবে, বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়।
অর্থ সমন্বয়ক টিএম রেজা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী অস্থায়ী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেও আগামী ২০২৪ সালে স্থায়ী শহীদবেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে ভাষা আন্দোলনে আত্মদানকারী সকল শহীদদের প্রতি।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের সভাপতি সালেহ আহমদ চৌধুরী বলেন, আমরা গৌরবান্বিত মহিমান্বিত একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের জন্য আজ আমরা বিশ্ব দরবারে পরিচিত।
ফ্রান্স বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত ভট্টাচার্য শুভ বলেন, এই মহতী উদ্যোগকে যারা তরান্বিত করেছেন,সময় দিয়েছেন, অর্থ দিয়েছেন আমরা তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ।
একুশে উদযাপন পরিষদ ফ্রান্সের সদস্য সচিব এমদাদুল হক স্বপন বলেন, প্রবাস জীবনের শত ব্যস্ততার মধ্য থেকেও আমরা দেশ মাতৃকার জন্য কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
প্রসঙ্গত, প্যারিসের শহীদ মিনার নির্মাণের ব্যয় হবে ৮০ হাজার ইউরো।এবং এই ব্যয়ের সিংহ ভাগ দিয়েছেন প্রধান সমন্বয়ক এবং অল ইউরোপীয়ান বাংলাদেশ আসোসিয়েশন (আয়েবা) মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ।
এএম/