দেশের ফুটবলের কিংবদন্তী কাজী সালাহউদ্দিন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তিনি। বলাবাহুল্য টানা চার মেয়াদে সংস্থার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে থাকার সময় তিনি স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, ২০২২ বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নেই তার। ৮ ম্যাচে দুই জয়ের বিপরিতে ছয়টিতেই হার জামাল ভূঁইয়াদের।
তবে মাঠে না থাকলেও ভিন্নভাবে কাতার বিশ্বআসরে থাকবে বাংলাদেশের নাম। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা ফিফার টি-শার্ট পরে অফিসিয়াল কর্মীরা ঘুরবেন সব ভেন্যূতে। পরবেন ফুটবল অনুরাগীরাও। ফিফার ৬ লাখ অফিসিয়াল টি-শার্ট তৈরির অর্ডার পেয়েছে চট্টগ্রামের ‘সনেট টেক্সটাইল’ নামক একটি পোশাক কারখানা। রাতদিন ব্যস্ততায় তা এখন তৈরি হচ্ছে। এরইমধ্যে চলে গেছে একটি চালান।
বন্দরনগরীর চটগ্রামের ফকিরহাট গোসাইলডাঙ্গায় সনেট টেক্সটাইলে ফিফার জন্য বানানো হচ্ছে বিশ্বকাপের টি-শার্ট। গেলো বছরের জুলাইয়ে ৬ লাখ পিস তৈরির এ ক্রয় আদেশ দেয় রাশিয়ার ক্রেতা প্রতিষ্ঠান স্পোর্টমাস্টার।
এমনটি কাজকে দেশের জন্য গৌরবের বলছেন উদ্যোক্তারা। জানান, ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের জন্য সাড়ে ৪ লাখ পিস জ্যাকেট আর ২০ সালে ইউরোকাপের ৪ লাখ টি-শার্ট তৈরির কাজ পেয়েছিলো সনেট। সে অভিজ্ঞতার কারণেই আসছে এবার মিলেছে বিশ্বকাপের কাজ। ইতিমধ্যে অর্ধেক পণ্য পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি পণ্য যাবে মার্চের প্রথমদিকে।
কারখানাটিতে বিভিন্ন বয়সীদের জন্য বানানো হচ্ছে পাঁচ ধরনের টি-শার্ট। যাতে ব্যবহৃত হচ্ছে দেশীয় ফেব্রিক্স আর সুতা। পরম মমতায় বিশেষ এসব পোষাক তৈরি করছে শ্রমিক-কর্মচারীরা।
ফিফা বিশ্বকাপের এবারের আসর কাতারে। যা মাঠে গড়াবে আগামী ২১ নভেম্বর। ফুটবলের সবচেয়ে বড় এই আয়োজনকে ঘিরে বিভিন্ন দেশে তৈরি হচ্ছে নানা উপকরণ।
হাসিব মোহাম্মদ