আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বোলারদের দাপটে ব্যাকফুটে আফগানরা

বোলারদের দাপটে ব্যাকফুটে আফগানরা

প্রত্যাশিতভাবেই জয়ের পথেই আছে বাংলাদেশ। কারণ দ্বিতীয় ওয়ানডে জিততে আফগানদের দরকার ৩০৭ রান। আর স্বাগতিকদের প্রয়োজন ১০ উইকেট। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতার খানিকটা এগিয়ে গেছে তাসকিন-সাকিবরা। এরমধ্যে নেই চার উইকেট। রানটাও দেড়শো ছাড়াতে পারেনি সফরাকারীরা। আর ওভার শেষ অর্ধেকটা। মানে ৫০ ওভারের ম্যাচে আফগানরা খেলে ফেলেছেন ২৫ ওভার। 

পেসার শরিফুল ইসলাম, তাসকিন  আহমেদ এবং স্পিনার সাকিব আল হাসান নেন একটি করে উইকেট। অপরটি হয়েছে রান আউট। যার কৃতিত্ব আফিফ হোসেনের। 

এরআগে শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে, লিটন দাসের ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিম অর্ধশত রানের ভর করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পর্বতসম রানের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে লিটন ও মুশফিক গড়েন ২০২ রানের জুটি। 

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮ রান তোলার পর ফজল হক ফারুকির বলে এলবির ফাঁদে পড়েন তামিম। বাঁচার জন্য রিভিউ নিলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি। ২ চারে ২৪ বলে ১২ রান করেন এই ওপেনার।

তামিমকে হারানোর পর লিটনকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়েন সাকিব। কিন্তু দলীয় ৮৩ রানে স্পিনার রশিদ খানের বলে এলবির শিকার হন দেশসেরা অলরাউন্ডার। সাকিব ২ চারে ৩৬ বলে ২০ রান করেন।

তৃতীয় উইকেটে মুশফিক ও লিটন ২০২ রানের জুটি গড়েন। যা তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড। এছাড়া সবমিলিয়ে যেকোনো উইকেটে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। এ নিয়েই পঞ্চমবারই কোনো উইকেটে ২০০ রানের জুটি দেখলো বাংলাদেশ।

ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির পথে লিটন খেলেছেন ১২৬ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ১৬ চার ও দুইটি বিশাল ছয়ের মার। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের ৪১তম ফিফটি করা মুশফিক ৯ চারের সাহায্যে করেছেন ৯৩ বলে ৮৬ রান। 

৪৭তম ওভারে পরপর দুই বলে লিটন ও মুশফিককে ফেরান ফরিদ আহমদ। শেষ পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ ২১ রানের জুটি গড়েন। মাহমুদউল্লাহ ৬ রানে ও আফিফ ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। 

আফগানিস্তানের হয়ে ফরিদ আহমেদ ২টি, ফজলহক ফারুকি ও রশিদ খান একটি করে উইকেট লাভ করেন।

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বোলারদের | দাপটে | ব্যাকফুটে | আফগানরা