চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ম্যাচের পুরো দখল শ্রীলঙ্কার হাতে। বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ফেরা খুব বেশি পার্থক্য তৈরি করতে পারেনি। দুই পেসার নিয়ে খেলা স্বাগতিকদের সামনে দারুণ প্রতাপে ব্যাটিং করে গেছে লঙ্কানরা। ওপেনারদের শুরু থেকে দিনের শেষ পর্যন্ত, চাপের প্রসঙ্গে বাংলাদেশ খুব বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখাতে পারেনি। প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রানের সংগ্রহ তুলেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
আজ শনিবার (৩০ মার্চ) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কা টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আজকের লঙ্কান একাদশে ছিল এক পরিবর্তন। চোটে আক্রান্ত কাসুন রাজিথার বদলি হয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো। অন্যদিকে বাংলাদেশ একাদশে সাকিব ছাড়াও, ফিরেছেন পেসার হাসান। বদলি করানো হয়েছে শরিফুল ইসলাম ও নাহিদ রানাকে।
চট্টগ্রামে সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হয়ে থাকে। আজকের উইকেটে ছিল কিছুটা শুষ্ক আর অল্প কিছু ঘাস। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সর্বশেষ ৩ টেস্ট ড্র হয়েছে চট্টগ্রামে। আজ লঙ্কানদের প্রথম সেশন কেটেছে বিনা উদ্বেগে, বিনা উইকেটে। দলটির প্রথম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ৯৬ রানে।
ফিফটি করে ৫৭ রানে ফেরেন নিশান মাদুশকা। হয়েছেন রানআউটের শিকার। অবশ্য দুই ওপেনার থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ কিছু সুযোগ হারিয়েছে। প্রথম উইকেট রানআউটের পর, দ্বিতীয় উইকেট পেতে বাংলাদেশের শ্রম দিতে হয় আরো বেশি। দলীয় শতক ছাড়িয়ে দ্বিশতক পূরণ করে নেয় লঙ্কানরা। ওপেনার দিমুথ করুনারত্নের শত রানের আশা অবশ্য পূরণ হয়নি। হাসান মাহমুদের ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ৮৬ রানে।
উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ততক্ষণে ক্রিজে থিতু হয়েছেন। মেন্ডিস ব্যক্তিগত শতক করে নিবেন, এমন এক সম্ভাবনা তৈরি করেই ফেলেছিলেন। তবে সাকিবের স্পিনে পরাস্ত হয়ে এজ হন মেন্ডিস। ক্যাচ ওঠে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। আর তাতে ৯৩ রানে ফিরতে হয় এই ব্যাটারকে।
তখন ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রানে অবস্থান করছিল লঙ্কানরা।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ইনিংস বড় করার চেষ্টায় ছিলেন। তবে দীনেশ চান্ডিমালকে একা রেখে ম্যাথিউস ফিরতে দেরি করেননি। হাসান মাহমুদের বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৩ রানে ফিরেছেন এই ব্যাটার। লঙ্কানরা হারায় তাদের চতুর্থ উইকেট। আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি সফরকারী দলের। দিনের বাকি অংশ শেষ করেছেন চান্দিমাল ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা মিলে। চান্দিমাল ৩৪ রানে এবং ধনঞ্জয়া ১৫ রানে অপরাজিত অবস্থায় থেকে ক্রিজ ছেড়েছেন।