বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত’ কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়ে গেলো শুক্রবার বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
বিষয়টি নিয়ে রোববার(২৪ সেপ্টেম্বর) একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, সরকার, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর আগামীতে গণমাধ্যমও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে যুক্ত হবে। তবে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ওই বক্তব্য আরো স্পষ্ট করেছে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।
দূতাবাসটির নিজস্ব ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে উদ্ধৃত করে লিখেছে- আমরা (ভিসা নিষেধাজ্ঞা) নীতিটি সরকারপন্থি, বিরোধী দল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্য এমনকি গণমাধ্যমের সদস্য নির্বিশেষে যে কারো বিরুদ্ধে ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে প্রয়োগ করছি; যারা দেশটির গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করায় জড়িত।
এর আগে গতকাল রোববার বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ভিসানীতির আওতায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও আসতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেন।
ওই টক শোতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, নেতিবাচক ভূমিকা ও আচরণের কারণে বাংলাদেশের যে কেউ মার্কিন ভিসানীতির শিকার হতে পারে। অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা কেমন তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। এটি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়। তিনি বলেন, কতজনকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো তা মুখ্য বিষয় নয়। আমরা এর মধ্যে দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়ে যাচ্ছি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিতে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতি আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
এর আগে,‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত’ কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়ে গত শুক্রবার বিবৃতি দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার ওই বিবৃতিতে বলেন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকা বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্য রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেন। সেখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে দেশটির অব্যাহত নজরদারির বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
এএম/