আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রাশিয়ার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল : জেলেনস্কি

রাশিয়ার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল : জেলেনস্কি

রাশিয়া  ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে আরও বেশি বোমা ফেলতে চায়। তারা আরও সূক্ষ্মভাবে ইউক্রেনের শিশুদের হত্যা করতে চাচ্ছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার এমন নৃশংস কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল। বললেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

এ হামলার জের ধরে জেলেনস্কি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার ভোটদানের ক্ষমতা বাতিল করতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি এসব কথা বলেছেন বলে খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স। 

একই দিনে অনলাইনে অপর এক পোস্টে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণ করছে মস্কো। আগ্রাসী শক্তি পশ্চিমাপন্থি দেশটির আরও গভীরে আঘাত করতে চায়। ইউক্রেনে গত রাতটি ছিল অত্যন্ত নৃশংস। তারা আবাসিক এলাকায় বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ও বোমাবর্ষণ করেছে।

তিনি বলেন, দেশে এমন কোনো জিনিস নেই; যা দখলদাররা লক্ষ্যবস্তু করছে না। তারা সবার বিরুদ্ধে লড়ছে। তারা জীবন্ত সবকিছুর বিরুদ্ধ লড়ছে। আগ্রাসী শক্তিরা কিন্ডারগার্টেন, আবাসিক ভবন এমনকি অ্যাম্বুলেন্সেও হামলা করছে।

জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ সৈন্যরা পুরো শহরের সব জেলায় রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। যেখানে কোনো সামরিক স্থাপনা নেই এবং কখনোই ছিল না। ইউক্রেনের ভাসিলকিভ, কিয়েভ, চেরনিগিভ, সুমি, খারকিভ এবং অন্যান্য অনেক শহরে এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেমনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউক্রেনে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল।

এদিকে, আগ্রাসনের চতুর্থ দিনে এসে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা জোরদার করেছে। ইতোমধ্যে নোভা কাখোভকা নামে দেশটির কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ সৈন্যরা।

নিউ কাখোভকা নামেও পরিচিত এই শহরটি ছোট হলেও কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাখোভকা শহরটি দিনিপার নদীর তীরে অবস্থিত এবং এই নদী দিয়ে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। এছাড়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত খেরসন শহর এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বারদিয়ানস্ক শহর রুশ সেনারা পুরোপুরি অবরোধ করেছে বলে দাবি করেছে মস্কো।

অন্যদিকে, সংঘাতের অবসানে ইউক্রেনের সাথে আলোচনার জন্য রাশিয়ার পাঠানো প্রতিনিধিদের একটি দল বেলারুশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে মস্কো। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বেলারুশে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচ সিআর বলছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ ও যুদ্ধের কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানো লোকের সংখ্যা এখন ৩,৬৮,০০০-এ পৌঁছেছে।

অন্যদিকে গত তিন দিনে ইউক্রেন থেকে রোমানিয়ায় পালিয়েছে ৪৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। এবং ইউক্রেনের মন্ত্রীর দাবি তাদের ৪ হাজার ৩০০ রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে।

অনন্যা চৈতী

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন রাশিয়ার | অপরাধমূলক | কর্মকাণ্ড | গণহত্যার | শামিল | | জেলেনস্কি