সুরমা ও মেঘনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তথ্যানুযায়ী, পূর্ণিমা ও উজানের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের গেলো ২৪ ঘণ্টায় ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও তা ভাটায় আবার নেমে যাবে।
এসব নদীর মধ্যে বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ভোলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার, বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ৬ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার, উমেদপুর কচা নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ৯ সেন্টিমিটার এবং পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পূর্ণিমা ও উজানের চাপে ৮টি নদীর পানি বেড়েছে। নদীগুলোর যে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। তবে এখনও পর্যন্ত বন্যার কোনো প্রভাব নেই।
এছাড়া দক্ষিণের আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এগুলো হলো- বরিশালের কীর্তনখোলা, বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর, ঝালকাঠির বিশখালী, কাইটপাড়া লোহালিয়া, ভোলা খেয়াঘাট তেঁতুলিয়া, গৌরনদী টরকি, বাবুগঞ্জ, মির্জাগঞ্জ বুড়িশ্বর, আমতলী বুড়িশ্বর ও স্বরূপকাঠি নদী।