২২৯ রানে ছিল না ৭ উইকেট। জো রুট যখন আউট হয়ে যান, তখন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার আর কেউ ছিলেন না। ব্যক্তিগত ৭৭ রানে রুটের বিদায়ের পরপরই বড় সংগ্রহের স্বপ্ন থেকে ছিটকে যায় ইংল্যান্ড। শেষ দিকে লিয়াম লিভিংস্টোনের ২০, ওডের ১৩ ও আদিল রশিদের ১৫ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় ইংলিশরা।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ব ক্রিকেটের সর্ববৃহৎ ভেন্যু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে এবারের বিশ্বকাপের রানের খাতা খোলেন জনি বেয়ারস্টো।
শুরুর সেই আগ্রাসী মনোভাব ধরে রেখে ব্যাটিং করতে থাকেন বেয়ারস্টো। তবে আরেক ওপেনার ডেভিড মালান কিছুটা ধীরে-সুস্থে ব্যাটিং করতে থাকেন। কিন্তু অষ্টম ওভারে এসে সাজঘরে ফেরেন মালান। দলীয় ৪০ রানের মাথায় ম্যাট হেনরির বলে উইকেটের পিছনে ল্যাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ১৪ রানে।
এরপর জো রুটকে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন বেয়ারস্টো। কিন্তু ক্রিজে থিতু হতে পারেননি তিনি। দলীয় ৬৪ রানের মাথায় মিচেল স্যান্টনারের বলে লং অফে ড্যারেল মিচেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। বিদায়ের আগে ৩৫ বলে ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩৩ রান করেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে ক্রিজে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরুটা হ্যারি ব্রুক। তবে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে রাচিন রবীন্দ্রর ঘূর্ণি জালে আটকা পড়েন টপ-অর্ডার এই ব্যাটার। ১৬ বলে ২৫ রান করে দলীয় ৯৪ রানের সাজঘরে ফিরেন তিনি।
পঞ্চম উইকেটে ক্রিজে নেমে জো রুটের সঙ্গে জুটি গড়েন জস বাটলার। এরপর ক্রমেই উইকেটে থিতু হতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দ্রুতই ব্যক্তিগত ৫০ রান তুলে নেন রুট। ইনিংসের ৩০তম ওভারে বোল্টের বল আলতো করে ঢেলে দিয়ে ১ ছক্কা ও ২ চারে ৫৭ বলে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ৫০ রানে নাম লেখান রুট। অধিনায়ক জস বাটলারের সঙ্গে গড়েন ৭০ রানের জুটি।
তবে সাবলীলভাবে খেলতে থাকা বাটলারও ইনিংস বড় করার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেন। রুটের ফিফটির পরই সাজঘরে ফিরেন তিনি। ব্যক্তিগত ৪৩ রানে ফেরার আগে দুই চারের সঙ্গে হাঁকান ২ ছক্কা। ইনিংসের ৩৩তম ওভারে হেনরির অফ অ্যাঙ্গেলে ইন হওয়া একটি বল বাইরে ছেড়ে খেলতে ছেড়েছিলেন। তবে তা উল্টো উইকেটকিপার ল্যাথামের গ্লাভস চিনে নেয়।
এরপর টপ-অর্ডারের আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই রুটকে ফেরান নিউজিল্যান্ডের পার্ট-টাইম বোলার গ্লেন ফিলিপস। মূলত নিজের ভুলেই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন রুট। ফিলিপসের বলটিকে রিভার্স-সুইপ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মুহূর্তেই তা মিস করে আঘাত হানে লেগ স্ট্যাম্পে। ব্যক্তিগত ৭৭ রানে ৪ চার ও এক ছক্কায় প্যাভিলিয়নে ফিরেন রুট।
এরপর শেষ দিকে লড়াইটা এগিয়ে নেন আদিল রশিদ ও মার্ক ওড। তাদের ক্যামিওতে ভর করে ২৮২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় ইংলিশরা।
কিউইদের হয়ে হেনরি ৩টি, স্যাটনার ও ফিলিপস দুটি এবং বোল্ট ও রাচিন রবিন্দ্র একটি করে উইকেট শিকার করেছেন।