সাড়ে ছয়শো নারীর সাথে রাত কাটিয়েছেন তিনি। আর সুন্দরী বান্ধবী ছিল পাঁচশোরও বেশি। এদের মধ্যে দুইশোরও বেশি ছিলেন বিদেশি নারী। তার কাছে নারীসঙ্গ যেনো জলভাত। তিনি যেনো মহিলাদের কাছে বিশেষ আকর্যণ! না হলে কেউ ৬৫০ জন মহিলার সঙ্গে রাত কাটাতে পারে! হ্যা,বলা হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাব্কে ক্রিকেটার টিনো ইয়া বারট্রাম বেস্টের নাম। ক্রিকেট বিশ্ব যাকে টিনো বেস্ট নামে চিনে।
অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের অন্যতম প্রয়াত শেন ওয়ার্ন। নারীসঙ্গে ছিলেন প্রচণ্ড আসক্ত। প্রতি রাতে নতুন নারী, ড্রাগ নেওয়া, তাঁরই হাতে বল অফ সেঞ্চুরি-এই ছিল রঙিন ওয়ার্ন। জীবদ্দশায় সে কথা স্বীকারও করে গেছেন। তবে শেন ওয়ার্নকে টপকিয়ে গেছেন টিনো বেস্ট।নারীসঙ্গ তার কাছে যেনো পোশাক বদলানোর মতো। যখন খুশি পরো –খোলো আর খোলো-পরো।
টিনো ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের গেইল, ব্র্যাভো এবং পোলার্ডের সতীর্থ। সাবেক এই পেসার ২০১৬ সালে আত্মজীবনী 'মাইন্ড দ্য উইন্ডোজ: মাই স্টোরি' প্রকাশ করেছিলেন। সেখানেই তিনি উল্লেখ করেন,প্রায় ৬৫০ মহিলার সঙ্গে রাত কাটিয়েছেন তিনি। আর সেকারণেই তিনি নিজেকে`ব্ল্যাক ব্র্যাড পিট' বলেও উল্লেখ করেন। পাশাপাশি মাথায় চুল না থাকলেও নিজেকে বিশ্বের সবথেকে সুন্দর ন্যাড়া পুরুষ বলেও সম্বোধন করেন।
আত্মজীবনীতে টিনো লিখেছেন, 'আমি নারীদের ভালোবাসি। নারীরাও আমাকে ভালোবাসে। আমি নিজেকে বিশ্বের সবথেকে সুন্দর ন্যাড়া মাথার পুরুষ বলেও মনে করি। আমাকে অনেকেই মজা করে ‘ব্ল্যাক ব্র্যাড পিট’ বলে থাকেন। টিনো আরো লিখেন-আমি মহিলাদের সঙ্গে ডেট করতে এবং শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে ভালোবাসি। আমাকে দেখে অনেক সতীর্থ ক্রিকেটার বিদেশ সফরে গিয়ে নারীসঙ্গ উপভোগ করতে শুরু করেন। আমি সেই সব সতীর্থদের কাছে ছিলাম রোলমডেল।নারীসঙ্গ আমার নেশা‘
বর্তমানে ৪২ বছর বয়সীসাবেক এই পেসার ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও ওই নেশা থেকে এখনও বের হতে পারেননি। বর্তমানে সিঙ্গেল স্টেট্যাসে তিনি। তবে মাঝে মাঝে তার স্কান্ডালের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়।
টিম ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তিনি শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০১৪ সালে। দেশের হয়ে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে খেলেছেন টিনো বেস্ট। এর মধ্যে ২৫টি টেস্ট, ২৩টি একদিনের ম্যাচ ও ৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে বরাবরই মাঠের বাইরের বিভিন্ন কাণ্ড নিয়ে তিনি আলোচনায় থাকতেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই প্লেবয় পেসার।