আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

দুই ভাগনিকে গলাকেটে হত্যার পর মসজিদে যান মামা

দুই ভাগনিকে গলাকেটে হত্যার পর মসজিদে যান মামা

ময়মনসিংহে গলাকেটে আপন দুই ভাগনিকে হত্যা করেছে মামা মাহাবুব (২০)। হত্যার পর রক্তাক্ত অবস্থায় মসজিদে যান তিনি। এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার (৭মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে  ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা উচাখিলা ইউনিয়নের কাজীর বলসা গ্রামে।

জানা যায়, কাজীর বলসা গ্রামের মৃত আ. ছালামের কন্যা সালমা ও হালিমা সন্তানদের নিয়ে ১০ দিন আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সালমার বিয়ে হয় নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায় বাউশি ইউনিয়নের বাড়ইতাতিয়া গ্রামের রাজিবের সঙ্গে। তাদের তার ৪ বছরের কন্যা সায়মা।

হালিমার বিয়ে হয় নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কাদিরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তাদের ৩ বছরের একমাত্র কন্যা তৃপ্তি।

মাহাবুব ওই দুই শিশু ভাগনিকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে ডেকে বসত ঘরে ভেতর নিয়ে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। ঘরে লাশ ফেলে রেখে রক্তাক্ত অবস্থায় মসজিদে গিয়ে বসে থাকে। পরে স্থানীয়রা তাকে ভেতরে আটকে রাখে।
  
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সালমা ও হালিমা সন্তান শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। দুই শিশু হত্যার ঘটনায় স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে এবং মাহাবুবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার পূর্বে বাড়ির পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা তৌফিক (১৫) নামে এক কিশোরকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাহাবুবের ভাই সাদেকসহ অনেকেই জানান, মাহাবুব প্রায় বছর খানেক ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছে।

এমন খবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়রুল হাসান খান সেলিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদের মিয়া জানান, হত্যার সঙ্গে জড়িত মাহাবুবকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

 

এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন দুই | ভাগনিকে | গলাকেটে | হত্যার | মসজিদে | যান | মামা