আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মিতু হত্যা মামলা: জামিন চায় বাবুল আক্তার

মিতু হত্যা মামলা: জামিন চায় বাবুল আক্তার

চট্টগ্রামে পাঁচলাইশে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।

আজ সোমবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি ওপর শুনানি করবে।

জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত স্ত্রী মিতু হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বাবুল।

গেলো ৯ জানুয়ারি বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করার আদেশ দেন আদালত। 

২০২১ সালের ১১ মে তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে গত ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে জিইসি মোড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেছিলেন স্বামী বাবুল। তবে দিন যেতে যেতে মামলার গতিপথও পাল্টে যায়। একপর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী নিজেই। তদন্তে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০২১ সালের ১১ মে তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই।

পরদিন ১২ মে দুপুরে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার শ্বশুর। মামলায় আসামি করা হয় আরও সাত জনকে। তারা হলেন- কামরুল ইসলাম মুছা, কালু, ওয়াসিম, শাহজাহান, আনোয়ার, এহতেসামুল হক ভোলা ও সাকি।

পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পর চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলা তদন্তের ভার পায় পিবিআই। 

২০১৬ সালের ২৪ জুন তাকে ঢাকার ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মিতু | হত্যা | মামলা | জামিন | চায় | বাবুল | আক্তার