বার্ধক্যে হাড় সংক্রান্ত নানা সমস্যা লেগেই থাকে। বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের খেয়াল করলেই তা বোঝা যায়। বসলে উঠতে পারেন না। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও পা টনটন করে ওঠে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে হাড় কমজোরি হতে শুরু করে ঠিকই। তবে কম বয়স থেকে হাড়ের যত্ন নিতে শুরু করলে এ সমস্যা অনেকটাই এড়ানো যায়। অস্থিরোগ ঠেকাতে অনেকেই ভরসা রাখেন দুধে, ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে। হাড়ের যত্নে দুধের জুড়ি মেলা ভার। হাড়ের খেয়াল রাখতে কিছু ড্রাই ফ্রুটসও কিন্তু বেশ কার্যকর।
কাঠবাদাম
কাঠবাদাম হল ক্যালশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই-এর মতো উপকারী উপাদানে ঠাসা কাঠবাদাম হাড়ের যত্নে ভরসা হয়ে উঠতে পারে। হাড় ভাল রাখতে শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ পর্যাপ্ত হওয়া জরুরি। কাঠবাদামে প্রোটিন রয়েছে ভরপুর পরিমাণে।
আখরোট
ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ আখরোট হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। এই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়। আখরোটে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ়, যা হাড় শক্তিশালী করে তোলে।
খেজুর
অস্থিরোগের ঝুঁকি এড়ানো যাবে তখনই, যদি শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক থাকে। খেজুরে ভরপুর পরিমাণে রয়েছে পটাশিয়াম। খেজুর খেলে হাড়ের সমস্যায় ভুগতে হবে না। এ ছাড়া খেজুরে ম্যাগনেশিয়ামও রয়েছ। এই উপাদান অস্টিয়োপোরেসিসের ঝুঁকি কমায়।
কিশমিশ
খেজুরের মতো কিশমিশেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। হাড়ের ক্ষয় আটকাতে ভরসা রাখতে হবে কিশমিশের উপরেও। কিশমিশ শরীরে ক্যালশিয়াম আর ম্যাগনেশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সামগ্রিক ভাবে হাড়ের যত্ন নিতে কিশমিশ অপরিহার্য।
কাজু
কাজুবাদামে রয়েছে ভরপুর ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফেরাস। ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের যত্নে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। শরীরে সঠিক মাত্রায় ক্যালশিয়াম শোষণ করতে কাজু সত্যিই উপকারী।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনবার্ধক্যে | হাঁটু | ব্যথার | ঝুঁকি | কমায় | ৫ | খাবার