আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

৭৯ বছর বয়সী চিরসবুজ অবিবাহিত আশা

৭৯ বছর বয়সী চিরসবুজ অবিবাহিত আশা

‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারপ্রাপ্ত বলিউডের প্রবীণ অভিনেত্রী আশা পারেখ। ৭৯ বছর বয়েসী এই অভিনেত্রী অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। পেয়েছেন খ্যাতি ও সম্মান। সম্প্রতি একটি ম্যাগাজিনের কভার পেইজের মডেল হয়েছেন তিনি। যেখানে কাঁধ পর্যন্ত খোলা চুল, স্বল্প মেকআপে চিরসবুজ রূপে ধরা দিয়েছেন এ অভিনেত্রী।

অভিনয় জীবনে সফল আশা ব্যক্তিগত জীবনে এখনো একাই রয়েছেন। গাঁটছেড়া বাঁধেননি কারো সঙ্গে। সম্প্রতি এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হারপার্স বাজার ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন বরেণ্য এই অভিনেত্রী।

আশা বলেছেন, বিয়ে বিষয়টাকে পছন্দই করতেন তিনি। তবে অবিবাহিত থাকার জন্য কোন আফসোস নেই তার। 

ষাট এবং সত্তরের দশকে একাধিক হিট ছবিতে অভিনয় করা এই অভিনেত্রী আরও বলেছেন, বিয়ে করে সন্তান ধারণ করতে তিনিও চেয়েছিলেন কিন্তু ঐ ব্যাপারটা হয়তো তার ভাগ্যেই ছিলো না। তবে এ নিয়ে অনুশোচনা বা আক্ষেপ নেই আশার।

এক পরিচালকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা হয়েছিল আশা পারেখের। এ বিষয়ে তিনি বলেন—এক বিবাহিত পরিচালকের সঙ্গে বিয়ে পর্যন্ত গড়ানোর মতো অবস্থা হয়েছিল। কাজকে বিসর্জন দিয়ে কারো গৃহবধূ হয়ে থাকতে চাননি তিনি তাই আর বিয়েটি করা হয়নি।

১৯৫২ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখেন আশা পারেখ। ১৯৫৯ সালে প্রথম নায়িকা চরিত্রে অভিষেক হয় তার। ষাট ও সত্তর দশকে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ওই সময়ে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সাফল্যের উচ্চতায় পৌঁছানোর পর অবিবাহিত থেকে যান আশা পারেখ। তার সফল সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘যাব পেয়ার কিসিসে হোতা হ্যায়’, ‘দিল দেকে দেখা’, ‘তিসরি মাঞ্জিল’, ‘লাভ ইন টোকিও’, ‘অ্যায় দিন বাহার কে’ এবং ‘কাটি পাতাং’।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ৭৯ | বছর | বয়সী | চিরসবুজ | অবিবাহিত | আশা