মানবিক দিক বিবেচনায় জিম্মি থাকা দুই ইসরায়েলিকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। কিন্তু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়নি। হামাস এমনটা দাবি করলেও ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ একে জঘন্য প্রচারণা বলে মন্তব্য করেছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে শুক্রবার কাতারের মধ্যস্থতায় দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেয় হামাস। ওই দুইজন হলেন, জুডিথ রানান (৫৯) এবং তার মেয়ে নাতালি রানানকে (১৮)।
শনিবার টেলিগ্রাম পোস্টে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেন, কাতারের সহযোগিতায় আমরা নোরিত ইতশাক ও ইয়োখেফেদ লিফশিৎজকে মুক্তি দিতে চাই। কিন্তু ইসরায়েলের দখলদার সরকার তাদের নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ইসরায়েল দুই জিম্মিকে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর কড়া সমালোচনা করছে হামাসের মুখপাত্র খালেদ আল-কাদ্দোমি। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইসরায়েলি সরকার তাদের গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। এতে প্রমাণিত হয়, দখলদার সরকার আন্তরিক নয় এবং তারা রক্তপাত বন্ধে প্রস্তুত নয়।
এদিকে হামাসের এমন দাবির প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অপহরণের শিকার ও নিখোঁজ সবাইকে ফেরত আনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ আমরা অব্যাহত রাখব। কিন্তু হামাস যে জঘন্য প্রচারণা চালাচ্ছে তার জবাব আমরা দেব না।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল রকেট হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। এ হামলার প্রেক্ষিতে গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। যা এখনও অব্যাহত।
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়।