আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

প্রয়োজনে হারিছ চৌধুরীর ডিএনএ টেস্ট করা হবে : ডিবি

প্রয়োজনে হারিছ চৌধুরীর ডিএনএ টেস্ট করা হবে : ডিবি

মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে মারা যাওয়া হারিছ চৌধুরীর ডিএনএ পরীক্ষা করতে চায় ঢাকা গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

আজ বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, আমরা ইতোমধ্যে এটা নিয়ে কাজ করছি। পত্রিকায় খবর এসেছে। মরদেহ ডিজেন্টার (মরদেহ উঠিয়ে নমুনা সংগ্রহ) করলে বা ডিএনএ টেস্ট করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের এভারকেয়ার হাসপাতালে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান হারিছ চৌধুরী। কিন্তু পরিচয় গোপন করার জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন মাহমুদুর রহমান নামে। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হারিছ যে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছিল তাতে প্রকৃত নামের পরিবর্তে লেখা ছিল মাহমুদুর রহমান।। পরদিন মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে হারিছকে ঢাকার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদের কমলাপুর এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসার কবরস্থানে দাফন করা হয় বলেও দাবি করা হয়। তবে এটি হারিছ চৌধুরীর পরিবারের স্বীকৃত কবরস্থান নয়।

এর আগে বিষয়টি নিয়ে গেলো সোমবার (১৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন হারিছ চৌধুরীর লন্ডন প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী। একই ধরনের চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং সিআইডি প্রধানকেও দেয়া হয় ।

চিঠিতে সামিরা বলেন, ‘আমার প্রয়াত পিতা হারিছ চৌধুরীর আসল পরিচয়ের বিষয়টি পরিবারের পাশাপাশি বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, বাংলাদেশের আইন বিভাগ যদি ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করতে চায় তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই।’

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন বলে সম্প্রতি খবর প্রকাশ হয়। গণমাধ্যমে এ খবরও আসে যে তিনি ১১ বছর ঢাকায় অবস্থা্ন করছিলেন মাহমুদুর রহমান নামে।

সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে খবর এসেছে হারিছ চৌধুরী মাহমুদুর রহমান নাম ধারণ করে ও এই নামে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে প্রায় ১১ বছর ঢাকায় অবস্থায় করছিলেন। ইন্টারপোলের রেড নোটিসের প্রেক্ষিতে গোয়েন্দার চোখে ধুলা দিতে তিনি ছদ্মবেশ ধরেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ৩ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয় বলে খবর প্রচার হয়।

মির্জা রুমন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন প্রয়োজনে | হারিছ | চৌধুরীর | ডিএনএ | টেস্ট | করা | হবে | | ডিবি