'সরকারি ষড়যন্ত্রের একচেটিয়া নির্বাচন দেশে আর হবে না। সব কিছু মোকাবিলা করেই জনগণ এবার একচেটিয়া নির্বাচন প্রতিহত করবে।’ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণ এবার লাঠি, গুলি ও টিয়ারগ্যাসের সামনে বুক পেতে লড়াই করবে। বললেণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে আওয়ামী অবৈধ সরকার ভয় পায়। কারণ তারা জানে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না। তাই বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে। হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। গণতন্ত্রকামী মানুষদের কিন্তু এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। সরকার হুমকি দিলে জাতীয়তাবাদী শক্তি আরও বেশি করে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।
রিজভী বলেন, 'ক্ষমতাসীন আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী সুপরিকল্পিতভাবে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির জন্য তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমান ও তার কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের নামে মনগড়া, অসত্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে কয়েক লক্ষ লোক নিয়োগ দিয়ে আইটি সংশ্লিষ্ট বিকৃত কন্টেন্ট তৈরি করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ব্যাঙ্গাত্মক ছবি দিয়ে সড়ক-মহাসড়কে পোস্টার, বিলবোর্ড তৈরি করে ছাত্রলীগের নামে টাঙানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নিজেদের মহাদুর্নীতি, অনাচার, অপকর্ম ঢাকতেই সরকার জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে উঠেপড়ে লেগেছে। আওয়ামী চক্রান্তকারীদের এহেন নোংরা রাজনীতির কৌশলকে মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ফেসবুকে একটি ভ্যারিফায়েড আইডি (Facebook.com/tariquerahmanman.bdbnp) এবং টুইটারে একটি ভ্যারিফায়েড হ্যান্ডল (twitter.com/trahmanbnp) রয়েছে। এছাড়া আর কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারেক রহমানের নামে কোনো আইডি অথবা পেজ নেই।