জার্মানির পার্লামেন্ট একটি আইন পাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে যেখানে বলা হয়েছে ইহুদি-বিদ্বেষীদের কখনও নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে না। একই সঙ্গে কোনো অভিবাসীর বিরুদ্ধে যদি ইহুদি ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীদের প্রতি বিদ্বেষ প্রদর্শন সংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে তার নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাবে। বুধবার (২৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফায়েসার।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফায়েসার বিবৃতিতে বলেছেন, নাগরিকত্ব প্রদান সংক্রান্ত নতুন একটি আইন বুন্দেস্তাগে (জার্মানির পার্লামেন্ট) প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেটি পাস হলে কোনো ইহুদি-বিদ্বেষীকে জার্মানির নাগরিকত্ব দেয়া হবে না। এমনকি যেসব অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে, তা ও বাতিল করা হবে।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার সাম্প্রতিক যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে মুসলিমদের মধ্যে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো জার্মানিতে বসবাসকারী মুসলিমদের একাংশও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছেন। সেসব সমাবেশে প্রকাশ্যে হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলাকে সমর্থনও জানানো হয়েছে।
গেলো শুক্রবার জার্মানির হামাস সমর্থকদের সে দেশ থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ন্যান্সি ফায়েসার। সেদিন জার্মান পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে তিনি বলেছিলেন, ‘হামাসের সমর্থকদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার ক্ষমতা যদি আমাদের থাকে, তাহলে আমরা অবশ্যই তার প্রয়োগ করব।’
বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে জার্মানির হামাস সমর্থকদের সতর্কবার্তা দিয়ে মন্ত্রী আরও বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার ইউনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর ওপর নজর রাখছে এবং যদি কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে হামাসের ‘প্রোপাগান্ডা’ চালানো হয়, সেক্ষেত্রে ওই অ্যাকাউন্ট পরিচালনাকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।