আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

নাইকো মামলা: সাক্ষ্য দিতে ঢাকায় দুই বিদেশি পুলিশ সদস্য

নাইকো মামলা: সাক্ষ্য দিতে ঢাকায় দুই বিদেশি পুলিশ সদস্য
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষী দিতে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন কানাডিয়ান রয়েল পুলিশের দুই সদস্য। শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা। আগামীকাল (৩০ অক্টোবর) কেরানীগঞ্জ অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবেন কানাডিয়ান রয়েল পুলিশের এই দুই সদস্য। বর্তমানে রাজধানীর একটি হোটেলে অবস্থান করছেন তারা। এর আগে গেলো ১৯ অক্টোবর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় কানাডিয়ান রয়েল পুলিশের দুই সদস্যকে ঢাকায় এসে সাক্ষী দিতে আদালতের সমন জারি করেন। পরে গেলো ১১ অক্টোবর আদালত ও কানাডার বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের আসার তথ্য নিশ্চিত করেন। গেলো ১৭ সেপ্টেম্বর কেবিন দুগ্গান, রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের লয়েড শোয়েপ ও নিউ ইয়র্কের ক্রিমিনাল ডিভিশনের মিসেস ডেব্রা ল্যাপ্রেভোট গ্রিফিথকে সাক্ষ্য দেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এদিকে নাইকো মামলায় বিদেশি সাক্ষী যাতে আসতে না পারে সেজন্য হাইকোর্টে রিট করেছেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে নথি দেখে দেখে সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধেরও আবেদন করা হয়েছে। গেলো ১৯ মার্চ আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন। অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন। উল্লেখ্য, কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোর সাথে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে, এমন অভিযোগে ২০০৭ সালে খালেদা জিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নাইকো | মামলা | সাক্ষ্য | ঢাকায় | দুই | বিদেশি | পুলিশ | সদস্য