শিশুখাদ্যসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণে কোনো অনিয়ম পেলে এখন থেকে শুধু জরিমানা নয়, বিশেষ আইনে মামলা করা হবে ।বললেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
আজ বুধবার (২৩মার্চ) রাজধানীর কাওরান বাজারে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে শিশুখাদ্য আমদানি ও বিক্রয় বিষয়ে শিশুখাদ্য আমদানিকারক, পাইকারি প্রতিষ্ঠান ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানানো হয়।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এখন আমাকে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে, শুধু ছোট জরিমানা করলে হবে না। অর্থাৎ আমাদের স্পেশাল আইনের যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, তা কেন ব্যবহার করছি না, সেই সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। যেহেতু মন্ত্রণালয়ে জবাবদিহি করতে হচ্ছে, তাই এখন থেকে স্পেশাল আইনে মামলা করব।
তিনি বলেন, কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, মৌলভী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানালেন সব ঠিকঠাক আছে। আমি এটা বিশ্বাস করি। ১৫ দিন পর রোজার মধ্যে হঠাৎ করে যখন অভিযান চালাব; তখন কোনো অনিয়ম পেলেই জরিমানা নয় সরাসরি স্পেশাল আইনে মামলা করব।
বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ও আমদানিকারকের স্টিকার ছাড়া কোনো পণ্য বিক্রি করা যাবে না। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য দোকানে রাখা যাবে না। যদি কোনো মেয়াদহীন, ভেজাল ও অনুমোদনহীন পণ্য পাওয়া যায় তাহলে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় আমদানিকারক ও পাইকাররা জানান, অবৈধভাবে আসা পণ্য বাজারে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করছে। এসব পণ্য কম দামে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে যারা বৈধভাবে পণ্য আমদানি করছেন, তারা বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন। তাই লাগেজ পার্টি দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে অধিদপ্তরের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।
এ সময় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি অবৈধ পণ্য বিক্রি না করার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়। অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের তথ্য দিতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
সুপারশপগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব ধরনের আইন পরিপালন করেই তারা পণ্য বিক্রি করছে। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে খুচরা দোকানের চেয়ে কিছু পণ্যের মূল্য কিছুটা বেশি পড়ছে। তবে এমআরপির বেশি কোনো পণ্যের মূল্য নয় বলে জানান তারা।
এসআই/