আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

১৯৭১ সালের গণহত্যাকে জাতিসংঘে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান

১৯৭১ সালের গণহত্যাকে জাতিসংঘে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান

১৯৭১ সালের গণহত্যাকে জাতিসংঘের স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

আজ শনিবার (২৬ মার্চ) ‘গণহত্যা প্রতিরোধ; অতীত ট্র্যাজেডির স্বীকৃতি ও ক্ষতিগ্রস্তদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এ আহ্বান জানান তিনি। জাতীয় গণহত্যা দিবস-২০২২’ পালনের অংশ হিসেবে এ সেমিনার আয়োজন করে বাংলাদেশ মিশন।

সেমিনারে রাবাব ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭১ সালের গণহত্যার ঘটনা অত্যন্ত ভালোভাবেই নথিভুক্ত করা আছে। তবু এখন পর্যন্ত জাতিসংঘে স্বীকৃতি লাভ করেনি। আমরা বিশ্বাস করি, গণহত্যা প্রতিরোধে জাতিসংঘের পদক্ষেপ অসম্পূর্ণই থেকে যাবে; যদি আমাদের দেশে সংঘটিত গণহত্যার মতো ঘটনা অস্বীকৃত থেকে যায়।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোন এবং ১ কোটি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করার ইতিহাস উল্লেখ করে রাবাবা ফাতিমা বলেন, এর সূচনা হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ‘অপারেশন সার্চলাইটের’ মাধ্যমে। ওই দিন গণহত্যা, যার উদ্দেশ্য ছিল আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে চিরতরে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা। কিন্তু হানাদার বাহিনীর সে উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়নি। এর বদলে জাতির পিতার উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালি জাতি। যার পরিসমাপ্তি ঘটেছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়ে।

সেমিনারটির মূল বক্তা ছিলেন কর্ণেল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জন হাবেল ওয়েইস। জাতিসংঘে নিযুক্ত বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সোভেন আলকালাজ, কম্বোডিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সোভানকি এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বাউল এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া ইভেন্টটিতে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মিজ্ অ্যালিস ওয়াইরিমু এনদেরিতু। আলোচনা পর্বটির সঞ্চালক ছিলেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

মির্জা রুমন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ১৯৭১ | সালের | গণহত্যাকে | জাতিসংঘে | স্বীকৃতি | দেয়ার | আহ্বান