আশির দশকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি এই খাত। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয়। বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের বেশীরভাগই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। প্রায় ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এই খাত। করোনাকালীন যখন সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট, তখনও বাংলোদেশ এ খাত থেকে ৪৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
কিন্ত কিছু দুস্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশের পোশাক খাতকে ধ্বংস করতে পোশাক শ্রমিকদের উস্কে দিচ্ছে। তারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে।
গেল ২৮ অক্টোবর থেকে দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টসের পোশাক শ্রমিকরা তাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবীতে আন্দোলন শুরু করে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়িয়ে পোশাক শ্রমিকদের উস্কে দিচ্ছে। সবশেষ গেল ৩১ অক্টোবর থেকে রাজধানীর মিরপুরের একটি গার্মেন্টসে সংঘর্ষে জোসনা নামে এক পোশাক শ্রমিককে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেয়। এমন গুজবে কান দিয়ে মিরপুরে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় পহেলা নভেম্বর রাতে কথিত নিখোঁজ পোশাক শ্রমিক জোসনা বেগমকে রাজধানীর কালশী এলাকায় খুঁজে পায় র্যাব। তিনি স্বাভাবিকভাবে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছিলেন।
গার্মেন্টসে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনার মূলপরিকল্পনাকারী এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার আসামি ও জড়িতদের দ্রত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ভবিষ্যতেও যেন কোন সার্থান্বেষী মহল যাতে পোশাক শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে এ ধরণের নাশকতা ও সহিংসতা করতে না পারে সেলক্ষ্যে নজরদারী করছে র্যাব।
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মইন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, সরকার পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ পোশাক খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠনগুলো আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের বেতনের সাথে নতুন ঘোষিত মজুরি শ্রমিকদের বুঝিয়ে দিবে বলে জানিয়েছে ।