নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে সন্তানকে ছিনিয়ে নিতে অবিশ্বাস্য তাণ্ডব চালিয়েছে ওই সন্তানের বাবা। বিমানবন্দরের ভেতরই শিশুটিকে ‘পণবন্দি’ করে বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর জন্য গুলিও চালায় ওই বাবা। এতে সাধারণ যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সাময়িকভাবে বাতিল হয় সব ফ্লাইট। দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা পর জিম্মি সমস্যার সমাধান হয় এবং সবকিছু স্বাভাবিক হয়। বাবাকে গ্রেফতার করেছে জার্মান পুলিশ।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে জার্মানির হামবুর্গ বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডিপিএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়,নিরাপত্তারক্ষীদের নিষেধ না মেনে হঠাৎ করেই বিমানবন্দরের ‘টারম্যাকে’ প্রবেশ করে একটি গাড়ি। এসময় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আপাতত সাধারণ যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। গাড়ি থেকে বের হয়েই বন্দুক উঁচিয়ে শূন্যে গুলি চালায়। এ ঘটনায় সাময়িকভাবে বাতিল করা হয় সব ফ্লাইট। গোটা বিমানবন্দর ঘিরে ফেলে নিরাপত্তাবাহিনী।
জার্মান পুলিশ জানায়,তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন সন্তান কার কাছে থাকবে তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলছিলো।ওইসময় স্ত্রীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে ছেলেকে ছিনিয়ে আনে গাড়িতে থাকা অভিযুক্ত। তিনিই হামবুর্গ বিমানবন্দরে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার রাত আটটা নাগাদ বেপরোয়া একটি গাড়ি নিরাপত্তার বলয় ভেঙে বিমানবন্দরের যেখানে বিমানগুলিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়, সেই টারম্যাক এলাকায় প্রবেশ করে। পরে গাড়ি থেকে বেরিয়ে শূন্যে দুই রাউন্ড গুলিও চালান সন্তানের বাবা। এমনকী, বোতলে আগুন ধরিয়ে তাও টারম্যাক এলাকায় ছুড়ে মারেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে জার্মান বাহিনী।
হামবার্গ পুলিশ জানিয়ছে,এক নারী ফোন করে ৪ বছরের সন্তানকে অপহরণের কথা জানান। ওই নারীর অভিযোগ, তাঁর স্বামী গাড়িতে ছেলেকে তুলে ‘অপহরণ’ করেছেন। কিন্তু অভিযুক্ত কেন বিমানবন্দরে ঢুকে তাণ্ডব চালালেন, তা এখনও অজানা। পরে দীর্ঘ জার্মান পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আর দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা পর বিমানবন্দরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে।
জার্মান পুলিশের মুখপাত্র থমাস গারবার্ট জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী গাড়িটিকে ঘিরে ফেলার কয়েক ঘণ্টা পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আগে জিম্মি সাধারণ যাত্রীদের হামবুর্গ বিমানবন্দর থেকে বের করে আনা হয়।