আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী

স্কুল যাওয়ার পথে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার হলো খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামের এক স্কুলছাত্রী (১৪)। ঘটনার পরপরই ধর্ষকদের আটক করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দেয়াড়া দক্ষিণপাড়ার ইয়ারুফ বিশ্বাসের ছেলে মো. শান্ত বিশ্বাস (২১) ও তার দুই বন্ধু।

গেলো সোমবার (২৮ মার্চ) গ্রেপ্তরকৃত আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বলে নিশ্চিত করেন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার।

তিনি বলেন, তিনজনের মধ্যে দুই আসামির বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তাদের অপরাধের বিচার শিশু আইনে হতে পারে। ভুক্তভোগী কিশোরী বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ওই কিশোরীর মা থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গেলো রোববার (২৭ মার্চ) সকাল আনুমানিক পৌনে দশটার দিকে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই কিশোরী সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে আমবাগান এলাকায় পূর্বপরিচিত শান্ত তার গতিরোধ করেন এবং তার সঙ্গে যেতে বলেন। কিশোরী এ সময় তার সঙ্গে যেতে রাজি না হলে শান্ত তার হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই আমবাগানের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে শান্তর অপর দুই বন্ধু কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

এ সময় কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ঘটনাটি দিঘলিয়া থানা পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে দিঘলিয়া থানার ওসি মো. আহসানউল্লাহ চৌধুরী ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে।

খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খুলনা ‘ক’ অঞ্চলের সার্কেল অফিসার রাজু আহমেদও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কিশোরীর মা বাদী হয়ে দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সংঘবদ্ধ | ধর্ষণের | শিকার | স্কুল | ছাত্রী