শ্রম আইন লঙ্ঘন করেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’শ্রম আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসব কথা বলেছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আদালত চত্বরে যান তিনি। তৃতীয় শ্রম আদালতের জেলা ও দায়রা জজ শেখ মেরিনা সুলতানার এজলাস কক্ষে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়।
এরপর আদালতের এজলাস কক্ষে ড. মুহাম্মদ ইউনুসসহ গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহানও কাঠগড়ায় দাঁড়ান। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে তারা বসে পড়েন। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে আদালতের বেঞ্চ অফিসার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যরা নিজেদেরকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেন। তারা বাদির মামলা খারিজ করার জন্য আদালতে আবেদন করেন।
এর আগে বেলা ১২টায় শ্রম আদালত প্রাঙ্গণে আসেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে হাজির হন তিনি। এদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চারজন আসামীর ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখা এবং সাফাই সাক্ষীর দিন ধার্য ছিল।
এর আগে গত ৬ই নভেম্বর এ মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন আদালত ৯ই নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চারজন আসামীর ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন ধার্য করেন।
ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে আদালতে এ মামলার শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এএম/