আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বৈঠকে এমন বড় কোনও অগ্রগতি হয়নি : রাশিয়া

বৈঠকে এমন বড় কোনও অগ্রগতি হয়নি : রাশিয়া

বৈঠকে যেটা ইতিবাচক তা হলো ইউক্রেনিয়ানরা অন্তত কাগজে-কলমে ইউক্রেনের প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এতদিনে অন্তত সেটা হাতে পাওয়া গেছে। বাকিটা যা হয়েছে, তাকে আমরা বড় কোনো অগ্রগতি বলতে পারিনা। খুব বেশি আশা করার মত কিছু নেই। বললেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

আজ বুধবার ( ৩০ মার্চ) এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এক কথা বলেন। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠকের পরদিন তিনি এসব কথা বললেন।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র বলেন, বৈঠকে এমন বড় কোনও অগ্রগতি হয়নি যা নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়।

পেসকভ বলেন, ক্রাইমিয়া ‘রাশিয়ার অংশ’ এবং রাশিয়ার কোনও ভৌগলিক অঞ্চল নিয়ে কোনও পক্ষের সাথে কোনও ধরণের মীমাংসা আলোচনা রাশিয়ার সংবিধানে নিষিদ্ধ।

তার কথা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ক্রাইমিয়া বা পূর্ব ইউক্রেনের রুশ সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো নিয়ে ইস্তাম্বুলের বৈঠকে ইউক্রেনের প্রস্তাবে রাশিয়া আদৌ খুশি নয়।

ইস্তাম্বুলে তিন ঘণ্টার বৈঠকে এই প্রথমবারে মত ইউক্রেন লিখিতভাবে তাদের প্রস্তাব বা শর্ত রাশিয়ার কাছে দিয়েছে । প্রধান প্রধান প্রস্তাব হচ্ছে-

ইউক্রেন একটি ‘নির্জোট এবং পারমানবিক অস্ত্র-মুক্ত’ একটি দেশ হবে যেখানে বিদেশ কোনো সামরিক ঘাঁটি বা সেনাদল থাকবে না।

এর বদলে ইউক্রেনের নিরাপত্তার ব্যাপারে শক্ত আইনি গ্যারান্টি দিতে হবে। ইউক্রেনের ওপর কোনো হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন, তুরস্ক, ফ্রান্স, ক্যানাডা, ইটালি, পোল্যান্ড এবং ইসরায়েলের মত দেশগুলোকে ইউক্রেনের নিরাপত্তায় এগিয়ে আসতে হবে।

যে কোনো হামলা শুরুর তিনদিনের মধ্যে এসব দেশকে বৈঠকে বসতে হবে এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তায় রক্ষায় অংশ নিতে হবে।

ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢুকতে দিতে হবে।

নেটো জোটে যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ২০১৯ সালে ইউক্রেনের সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছে, ফলে কোনো পরিবর্তনে কয়েক মাস সময় লাগবে।

আলোচনার মাধ্যমে ক্রাইমিয়ার সার্বভৌমত্ব নির্ধারিত হতে হবে, এবং সেই আলোচনা ১৫ বছর ধরে চলতে পারে। কিয়েভ বলেছে এই সময়ে এই সংকট নিরসনে কোনো সামরিক ব্যবস্থা নেয়া যাবেনা।

পূর্বে ডনবাস অঞ্চলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে মুখোমুখি কথা হতে হবে।

ইউক্রেনের ভূমি থেকে সব রুশ সৈন্যকে চলে যেতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বৈঠকে | এমন | বড় | কোনও | অগ্রগতি | হয়নি | | রাশিয়া