টস জিতলেও,বোলারদের হতশ্রী বোলিংয়ের সঙ্গে ডিন এলগার আর সারেল আরভিয়াকের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা। দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯৫ রানে দিনের দ্বিতীয় সেশন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা এই সেশনের খেলা শেষ করেছে ৩ উইকেট হারিয়ে। যেখানে স্কোর বোর্ডে জমা হয়েছে ১৬৫ রান। টেম্বা বাভুম ২২ এবং রায়ান রিকলটন ১১ রানে অপরাজিত ।
সুযোগটা এসেছিল ম্যাচের ৪২তম ওভারে। তাসকিনের আত্মবিশ্বাসে অভাবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও রিভিউ নেওয়া হয়নি। পরে রিপ্লেতে আল্ট্রা এজ-এ দেখা যায়, বল হালকা ছুঁয়ে গিয়েছিল ব্যাট। এই আফসোসটুকু একপাশে রাখলে সেশনটা মন্দ কাটেনি বাংলাদেশের।
এলগার ৬০ এবং আরভিয়া ৩২ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করেন। শুরু থেকেই দুই ব্যাটসম্যানকে চেপে ধরেন টাইগার বোলাররা। তার ফল আসে দ্বিতীয় সেশনের অষ্টম ওভারে। খালেদ আহমেদের আচমকাই লাফিয়ে ওঠা বল এলগারের গ্লাভস ছুঁয়ে যায় পেছনে। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে দুই হাতে বল গ্লাভসবন্দি করেন লিটন দাস। ১১ চারে ১০১ বলে ৬৭ করে আউট দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক।
প্রোটিয়া এ ব্যাটসম্যানের মনোযোগের ঘাটতি পড়তে পেরে মিরাজ বল ভাসিয়ে দেন বাতাসে। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পিচ করা বল টার্ন করে আরেকটু বাইরে যাচ্ছিল। বাঁহাতি আরভিয়া জায়গায় দাঁড়িয়েই চেষ্টা করেন অনেক দূরের বল ড্রাইভ করতে। ব্যাটে লেগে বল আঘাত করে স্টাম্পে। ১০২ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপর দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা আর তিনে নামা পিটারসেন। তবে দুই জনের পার্টনারশিপটাকে বড় হতে দেননি মিরাজ। দুর্দান্ত এক রান আউটে পিটারসেনকে আউট করে ভাঙেন ২৯ রানের পার্টনারশিপ। তাসকিন করা বলটি পয়েন্ট ঠেকে সিঙ্গেল বের করতে চেয়েছিলেন বাভুমা। মিরাজ একটু দৌড়ে ফুল লেংথ ডাইভ দিয়ে বল থামান। এরপর চোখের পলকে উঠে, বসা অবস্থায় থ্রো করে স্টাম্প উপড়ে দেন। পিটারসেন ফেরেন ৩৬ বলে ১৯ রান করে।
এসআই/