পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা কী নিজেদের ঘরে নিতে পারবে স্বাগতিক ভারত। এমন জল্পনা-কল্পনা ছিলো দিনভর।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট ভেন্যু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়া টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় স্বাগতিক ভারতকে। এবারের আসরে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে ফাইনালে খেলতে আসা রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া ১ লাখ ৩০ হাজার সমর্থকের সামনে ১০ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে উন্মুখ ছিলো। গ্যালারিও ছিলো তাদের দখলে। কিন্তু অজিদের বোলিং তোপে বেশি দূর যেতে পারেননি রোহিতরা। ৫০ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানের ঘরেই আটকে যায় তাদের ব্যাট। এতো কম রান টপকাতে হবে তা হয়তো ধারণা ছিলো না অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের।
সহজ টার্গেটে ব্যাট হাতে নিয়ে হোঁচট খেতে হয় অজিদের। চার ওভার শেষে হারাতে হয় প্রথম উইকেট। পরের দুই ওভার খেলায় নেই দ্বিতীয় উইকেট। সপ্তম ওভারে ৪৭ রান সংগ্রহ করে প্যাট কামিন্সের দল। তবে এরই মধ্যে হারাতে হয়েছে তিনটি উইকেট।
ট্রাভিস হেড ও মারনাস লাবুশেনের জুটি রানের গতি বোড়িয়ে দেয় জ্যামিতিক হারে। তাদের ব্যাটে দলের সেই রানের গতি থামে ২৩৯ রান। ট্রাভিস হেড একাই করেন ১৩৭ রান। মারনাস লাবুশেনের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।
ভারতের পক্ষে ২টি উইকেট পান যশপ্রীত বুমরা আর একটি উইকেট পান মোহাম্মদ শামি।
এদিকে, ভারতের ব্যাটারদের মধ্যে রোহিত শর্মা ৩১ বল খেলে ৪৭ রান করেন। বিরাট কোহলি ৬৩ বল খেলে করেন ৫৪ রান। রাহুল করেন ৬৬ রান, এতে তার খরচ হয় ১০৭ বল। সূর্যকুমার যাদব করেন ১৮ রান। কুলদীপ যাদব ১০ রান করলেও, বাকিরা দুই অংকের ঘর পার হতে পারেননি। এতো দিন ভালো ফরমে থাকা শুভমান গিল মাত্র ৪ রান করেই মাঠ ছাড়েন ফাইনাল ম্যাচে।
অজিদের পক্ষে মিচেল স্টার্ক ৩টি ও প্যাট কামিন্স ২টি উইকেট পান।
এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ২০০৩ সালে জোহানেসবার্গে ১২৫ রানে জয়ী হয়েছিল টিম অস্ট্রেলিয়া।
ভারত : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল (উইকেটকিপার), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, যশপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ শামি ও মোহাম্মদ সিরাজ।