ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ভারতে পাচারের শিকার ৪২ জন বাংলাদেশী নারী-শিশুকে দেশে ফেরত দিয়েছে ভারত সরকার। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।
ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃপক্ষ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল, চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের কমান্ডার মাহবুবুর রহমান ও পেট্রাপোল বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ৪২ নারী ও শিশু দেশে ফিরেছে। ভারতে অনুপ্রবেশসহ নানা অপরাধে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে কিশোরালয়, নবযাত্রা ও ধ্রুবাশ্রমসহ পশ্চিমবঙ্গের ১২টি শেল্টার হোমে তারা হেফাজতে ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেরত আসা এক ভুক্তভোগী বলেন, ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পথে ভারতে গিয়েছিলাম। এরকম অনেকেই আছে। ভারতে গিয়ে বাসাবাড়ি বা কারখানায় কাজ করার সময় পুলিশের হাতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হই। পরে আদালত অনেককে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়। সাজা শেষে কলকাতার বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আমাদের শেল্টার হোমে হেফাজতে নেয়।
পরে দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় এসব নারীকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর বেসরকারি সংস্থা রাইটস যশোর ৩২ ও মহিলা আইনজীবী সমিতি ১০ জন নারী-শিশুকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাইটস যশোরের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তৌফিক হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের রাইটস যশোর ৩২ এবং মহিলা আইনজীবী সমিতি ১০ জনকে গ্রহণ করে নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখবে। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।