‘কোনো স্বতন্ত্র মতন্ত্র আমরা চিনি না, মাইরের ওপর কোনো ওষুধ নাই। ছাত্রলীগের কোনো পোলাপান স্বতন্ত্ররে মানত না। স্বতন্ত্ররে কেমনে পিডাইতে অয়, হে অই দেহায়সে, হেরে আমরা এমনেই পিডামু।এই শহরের, এই সদরের নির্বাচনী কোনো এলাকায় তাদেরকে (স্বতন্ত্র প্রার্থী) কোনো জায়গা দেওয়া যাবে না।’ নরসিংদীর এক মতবিনিময় সভায় এভাবে বক্তব্য দেয়া জেলা শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)খোকন চন্দ্র সরকার।
তিনি বলেন, ‘'রিমনের দেওয়া বক্তব্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতি আদেশ নম্বর ১৫৫) এর ৭৩ ও ৮৪ (ক) এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ধারা ১১ (ক) এর লঙ্ঘন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইন ভঙ্গের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।'
এর আগে,নরসিংদী যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নরসিংদী-১ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্য নাহিদুর রহমান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রলীগ সভাপতিকে শোকজ করেন।একইসঙ্গে আইন ভঙ্গের কারণে কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেই কারণ জানতে চেয়ে শোকজ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
শোকজে উল্লেখ করা হয়,বুধবার দুপুরে নরসিংদী ক্লাব লিমিটেডের মিলনায়তনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলামের নৌকা প্রতীককে বিজয়ের লক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন তার বক্তব্যে বলেন, 'কোনো স্বতন্ত্র মতন্ত্র আমরা চিনি না, মাইরের ওপর কোনো ওষুধ নাই। ছাত্রলীগের কোনো পোলাপান স্বতন্ত্ররে মানত না। স্বতন্ত্ররে কেমনে পিডাইতে অয়, হে অই দেহায়সে, হেরে আমরা এমনেই পিডামু। এই শহরের, এই সদরের নির্বাচনী কোনো এলাকায় তাদেরকে (স্বতন্ত্র প্রার্থী) কোনো জায়গা দেওয়া যাবে না।'
আহসানুল ইসলাম রিমনের দেওয়া বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতি আদেশ নম্বর ১৫৫) এর ৭৩ ও ৮৪ (ক) এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ধারা ১১ (ক) এর লঙ্ঘন।
নরসিংদী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. বদিউল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এতে কেউ বাধা প্রদান করলে বা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করলে আমরা কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।