বিশ্ব ক্রিকেটে রাজত্ব করা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান! ক্রিকেট মাঠে বেশ অভিজ্ঞতা থাকলেও রাজনীতিতে নিজেকে মনে করেন ক্লাস ওয়ানের ছাত্র। তাইতো ভোটের মাঠে নেমেই সাকিব করে ফেলেছেন ভুল।
মাগুরা-১ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর গেলো বুধবার ঢাকা থেকে বিশাল শোডাউন সহকারে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে প্রবেশ করেন সাকিব। আর তাতেই ভঙ্গ হয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা। এর মাশুল হিসেবে শুক্রবার হাজির হতে হয়েছে জেলা জজ আদালতে।
শুক্রবার(০১ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় তার আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজিদুর রহমান সংগ্রামকে সঙ্গে নিয়ে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগেই জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হন। সেখানে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মাগুরার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সত্যব্রত শিকদারের দপ্তরে কমিটি এক ঘণ্টা সময় সাকিবের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে সেখান থেকে বের হয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব আল হাসান।
মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন,‘প্রথমবার আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। স্বাভাবিকভাবেই কিছু ভুল আমার অজান্তে হয়ে যেতে পারে। সেগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। এখন আমি আইন-কানুনগুলো ভালোভাবে জানব। এরপর যদি হয় তাহলে আমার দোষ হতে পারে; কিন্তু এখন যেটি হয়েছে সেটি নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। এগুলো যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেই বিষয়ে আমি খেয়াল রাখব।’
তিবে ইসির চোখে সাকিব ভুল করলেও শোডাউনের বিষয়টি কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না বলে দাবি করেন তার আইনজীবী সাজিদুর রহমান সংগ্রাম। তিনি বলেন, ‘প্রার্থী একজন বিশ্ববরেণ্য ক্রিকেটার। ঘটনার দিনে তার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ভক্তরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ভিড় করেছিলেন। প্রার্থী কাউকে আমন্ত্রণ জানাননি বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও কোনো আয়োজন ছিল না। বিধায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। তারপরও অনুসন্ধান কমিটি শোকজ করেছেন। আমরা লিখিত জবাব দিয়েছি। দেশের প্রচলিত আইন এবং নির্বাচন কমিশনের যে দিকনির্দেশনা রয়েছে সেটি আমরা শতভাগ পালন করব। ভবিষ্যতে যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না হয় সেদিকে নজর রাখব।’