ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। তাদের শরীরে ছুরি ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতের ওই ঘটনায় হামলাকারী ছিলেন একজন। আইফেল টাওয়ারের কাছে অবস্থিত কোয়াই ডি গ্রেনেলের আশপাশের পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন তিনি।
মন্ত্রী আরো জানান, এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ২৬ বছর বয়সী এক ফরাসি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে।
সন্দেহভাজন ব্যক্তি প্রথমে এক পর্যটক দম্পতির কাছে যায়, পরে এক জার্মান নাগরিককে ছুরিকাঘাত করে। এরপর পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আরো দুজনকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। আহতদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
দারমানিন বলেছেন, হামলার সময় ওই ব্যক্তি ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করেছিল। পরে পুলিশকে জানান, আফগানিস্তানে ও ফিলিস্তিনে অনেক মুসলমানের নিহতের ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ।
সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে ২০১৬ সালে হামলার পরিকল্পনার জন্য চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তিনি ফরাসি নিরাপত্তা সংস্থার নজরদারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
আটক ব্যক্তি মানসিক রোগে ভুগছেন বলেও মন্তব্য করেন জেরাল্ড দারমানিন।
গতকাল শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতের এ হামলার পর বীর-হাকিম মেট্রো স্টেশনের চারপাশে একটি পুলিশ অভিযান শুরু করে। ওই এলাকা এড়িয়ে চলতে অনুরোধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
ওই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ‘সন্ত্রাসী হামলা’ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত সবার জন্য সহানুভূতির বার্তাও দেন মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্ম এক্সে।