ইন্টারনেটে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেড় বছর ধরে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছিলো এক ব্যাক্তি। গেলো শনিবার (১৬ এপ্রিল) এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
উদ্ধার করা হয়েছে ১৭ বছর বয়সী কিশোরীকে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রোববার (১৭ এপ্রিল) শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ূন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ওই কিশোরী শ্রীমঙ্গলের একটি কলেজের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি সে চন্দন ধরের কাপড়ের দোকানে দেড় বছর আগে কাজ নেয়। চন্দন ধর তাকে কৌশলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে মোবাইলে তা সংরক্ষণ করে। ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দেড় বছর ধরে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে আসছিল।
কিশোরীর অভিযোগ, শনিবার সকালে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে বাধা দেয়। বিষয়টি চন্দনের মা ও স্ত্রীকে জানালে তারা তাকে চারিত্রিক অপবাদ দিয়ে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে তার হাত-পা বেঁধে একটি রুমে ফেলে রাখে।
পরে মেয়েটির আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আটক করা হয় চন্দনের মা ও স্ত্রীকে। তবে পালিয়ে যায় চন্দন। মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মৌলভীবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরী থানায় মামলা দায়ের করে। ওই রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মৌলভীবাজারের জগৎ সী গ্রাম থেকে চন্দন ধরকে আটক করা হয়।
তাসনিয়া রহমান
