আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিরা কোন চাপ দেয়নি, তাদের চাপ দেয়ার কোনও অধিকারও নেই। বিদেশিরা জানতে চায় সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ নির্বাচনের জন্য আমরা কি কি ব্যবস্থা নিয়েছি। ভালো নির্বাচন করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সেগুলো নিয়েছি কিনা- তা জানতে চেয়েছে তারা। বললেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আলমগীর বলেন, যারা প্রকৃত সাংবাদিক তারাই শুধু কার্ড (পর্যবেক্ষক কার্ড) পাবেন। প্রকৃত সাংবাদিকের সংজ্ঞা কি আপনারা জানেন। সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন তবে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কোনো অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের রুমে গিয়ে পরিচয় দিবেন এবং সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে আপনার কার্ড দেখাবেন। আপনি ভোটকেন্দ্রে লাইভ, রেকর্ড ও সাক্ষাৎকার দিতে চাইলে লাইনে থাকা অবস্থায় করতে হবে। এছাড়া কক্ষের ভেতরে ঢুকতে পারবেন, ছবি তুলতে পারবেন তবে বক্তব্য নিতে পারবেন না, লাইভ করতে পারবেন না। এছাড়া এক রুমে ১০ মিনিটের বেশি থাকা যাবে না।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিএনপির একটি রাজনৈতিক দল, যদি তারা নির্বাচনে না আসে সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই বিষয়ে কারও কোন হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। যারা নির্বাচনের বিপক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে বা হিংসাত্মক কার্যক্রম করছে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।
তিনি বলেন, বিএনপি যেহেতু নির্বাচনে আসেনি তাদের জন্য নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য না। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেহেতু নির্বাচনে এসেছে তাদের জন্য আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য। বিএনপি আমাদের কাছে কর্মসূচি পালনের জন্য অনুমতি চায়নি, অনুমতি চাইবে পুলিশের কাছে, আমাদের কাছে না।