আর্কাইভ থেকে জাতীয়

বাংলাদেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রে নীতি বদল হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রে নীতি বদল হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র
‘মার্কিন নৌবাহিনীতে থাকাকালে এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে আমরা দুই সিলেবলের একটি শব্দ বলতাম। তবে আমি এখন সেটা বলছি না। আমি শুধু বলবো এটা  পুরোপুরি মিথ্যা। রাশিয়ানরা জানে, এটা মিথ্যা। এটা নিখাদ রাশিয়ান প্রচারণা। তারা জানে, এটা মিথ্যা।বাংলাদেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতিতে বদল আসেনি’ এভাবেই বাংলাদেশের নির্বাচনসহ অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপের বিষয়ে পিটার হাসের বিরুদ্ধে মস্কোর অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কারবি। বুধবার(৬ ডিসেম্বর)ওয়াশিংটন ডিসির ফরেন প্রেস সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। তাদের মিডিয়া সেন্টারগুলোর ব্রিফিংয়েও বিষয়টি এখন নিয়মিত টপিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ওয়াশিংয়টনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফরেন প্রেস সেন্টার ও নিউইয়র্কের জাতিসংঘের প্রেস সেন্টারে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নানা আলোচনা হচ্ছে।মূলত এসব ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী গোলাম দস্তগীর এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী নামে দুই বাংলাদেশি সাংবাদিক নিয়মিত প্রশ্ন করেন। বুধবার(৬ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসির ফরেন প্রেস সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রশ্নটি ছিলো,বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে সম্প্রতি অভিযুক্ত করেছে মস্কো। আপনি জানেন যে, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে জোরালোভাবে কাজ করছেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বাংলাদেশে তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। কারণ, তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের কাছ থেকে সহিংস বক্তব্যের মুখোমুখি হচ্ছেন। রাশিয়ার অভিযোগ ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার বিষয়ে আপনা্র বক্তব্য কী? জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কারবি বলেন.‘মার্কিন নৌবাহিনীতে থাকাকালে এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে আমরা দুই সিলেবলের একটি শব্দ বলতাম। তবে আমি এখন সেটা বলছি না। আমি শুধু বলবো এটা  পুরোপুরি মিথ্যা। রাশিয়ানরা জানে, এটা মিথ্যা। এটা নিখাদ রাশিয়ান প্রচারণা। তারা জানে, এটা মিথ্যা।বাংলাদেশের জনগণ যা চায়,আমরাও তাই চাই। আর তা হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এই লক্ষ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও তাঁর দল কাজ করে যাচ্ছে। তাঁরা একইভাবে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, বিরোধী দল, সরকারসহ বাংলাদেশের সমাজের সব স্তরের মানুষের সঙ্গে কাজ করে যাবেন। বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে যাতে সম্মান করা হয়, তা নিশ্চিতে তাঁরা কঠোর পরিশ্রম করে যাবেন। তাঁরা বাংলাদেশে এই কাজই করে যাচ্ছেন। ফরেন প্রেস সেন্টারে মুশফিকুল ফজল আনসারী আসছে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উল্লেখ করে আরেকটি প্রশ্ন করেন।  ভারত, চীন ও রাশিয়ার ভূমকা নিয়ে প্রশ্নটি ছিলো,  ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে ভারত, চীন ও রাশিয়া এক জোট হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলের ওপর দমন–পীড়ন চলছে। বিরোধী নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র কি তার আগের অবস্থান থেকে পিছু হটছে? কারণ, আগে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। জবাবে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কারবি বলেন,‘আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাসী। আমরা এই লক্ষ্যে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিদেশি নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কারও পক্ষ নেয় না। বাংলাদেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতিতে বদল আসেনি। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমাদের এই সমর্থন অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের জনগণের এই মৌলিক আকাঙ্ক্ষার সমর্থনে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও তাঁর দল যা করা দরকার, তাই করবে।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বাংলাদেশের | নির্বাচনের | ক্ষেত্রে | নীতি | বদল | হয়নি | যুক্তরাষ্ট্র