আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

স্বাধীনতার ৫২ বছরেও মেলেনি সেতু

স্বাধীনতার ৫২ বছরেও মেলেনি সেতু
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে স্বাধীনতার ৫২ বছরেও মেলেনি সেতু, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক বাঁশের সাঁকো ও ড্রামের ভেলায় পাড়াপাড়। সরেজমিনে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরামপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, নীলকোমল নদীতে এক কিলোমিটারের মধ্যে ৮ থেকে ১০ টি এক বাঁশের সাঁকো ও দুটি ড্রামের ভেলায় এক অসহনীয় দূর্ভোগ ও ভোগান্তি নিয়ে ওই এলাকায় প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার মানুষ পাড়াপাড় করছে। দড়ি দিয়ে ড্রামের ভেলা টেনে নদী পারাপার তাদের নিত্য সঙ্গী। এখন পানি কম থাকায় পারাপারে সমস্যা কম হলেও বর্ষা মৌসুমে ভীষণ ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। স্কুল-কলেজগামি শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে পারাপার করতে হয়। অনেক সময় পানিতে পরে যায় তারা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষিকাজে জড়িত মানুষ এবং গুরুতর রোগীদের এসময় ভীষণ সমস্যায় পরতে হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সারা না পেয়ে স্থানীয় মানুষজন প্রতি বছর নিজেদের উদ্যোগে ড্রামের ভেলা ও এক বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুগের পর যুগ পারাপার করছেন। যেন দেখার কেউ নেই। ওই নদীতে দ্রুত একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পূর্ব ধনিরাম এলাকার রফিকুল ইসলাম ও ফজলুল করিম জানান, প্রায় ৫০০ পরিবার নীলকোমল নদীর ওপারে বসবাস করছেন। আর এই পাড়েরও প্রায় দেড় থেকে ২শ পরিবার নদীর ওপারে গিয়ে কৃষি জমিতে চাষাবাদ করে থাকেন। কি বলবো কষ্টের কথা! ভোট আসলে জনপ্রতিনিধিরা ব্রীজ নির্মানের প্রতিশ্রুতি দেন। ভোটে জয়ী হলে তাদের দেখাও মেলে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীরা প্রতি বছর বছর নিজস্ব উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো ও ড্রামের ভেলায় পাড়াপাড় করে আসছি। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে দুই থেকে তিন হাজার মানুষ জরুরী কাজের জন্য ড্রামের ভেলা ও বাঁশের সাঁকোয় নদী পারাপার করে থাকেন। সেই সাথে আমাদের ছেলে-মেয়েদের পারাপারেও অনেক কষ্ট। ফলে এই দুই স্থানীয় দ্রুত একটি নীলকোমল নদীতে ব্রীজ নির্মানের জন্য দাবী জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, সরেজমিনে গিয়ে আপাতত মানুষজনের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত একটি টেকসই বাঁশের তৈরী সাঁকো নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন স্বাধীনতার | ৫২ | বছরেও | মেলেনি | সেতু