তিনি ‘জিনের বাদশাহ’!এই পরিচয়ে গভীর রাতে অজানা লোকদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। দিতেন ধর্মীয় উপদেশ। প্রথমে নামাজ-কালাম পড়া হয়েছে কিনা জানতে চাইতেন। এভাবে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। সম্পর্ক একটু গভীর হলে মসজিদে জায়নামাজ দেওয়া ও দান-খয়রাত করলে স্বর্ণালংকার এবং ধন-সম্পদ পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল হাতিয়ে নিতেন। অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়ে এখন তিনি শ্রীঘরে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বাবু মণ্ডল (৫০) নামে এক ব্যক্তি জিনের বাদশাহ সেজে এভাবেই প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন। এরইমধ্যে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন আট লাখ টাকা।
অবশেষে মঙ্গলবার(১৯ ডিসেম্বর) উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের শাকপালা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুল আলম বুধবার(২০ ডিসেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্র জানায়,‘জিনের বাদশা’ পরিচয় দিয়ে বাবু মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন। গভীর রাতে মোবাইলে কল দিয়ে তিনি জিনের বাদশা পরিচয়ে কথা বলতেন। প্রথমে নামাজ-কালাম পড়া হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন কৌশলে কথা বলে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরবর্তীতে মসজিদে জায়নামাজ দেওয়া ও দান-খয়রাত করলে স্বর্ণালংকার এবং ধন-সম্পদ পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল হাতিয়ে নেয়। সম্প্রতি এমন অভিযোগে অভিযান চালিয়ে নিজ এলাকা থেকে বাবু মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়।’
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুল আলম শাহ গণমাধ্যমকে বলেন, বাবু মণ্ডল জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গত ছয় মাসে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে বাবু মণ্ডল প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে আদালতের মাথধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।