আর্কাইভ থেকে জাতীয়

৭ জানুয়ারির পর নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলবে জাতিসংঘ!

৭ জানুয়ারির পর নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলবে জাতিসংঘ!
‘আমি মনে করি, বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব  ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে  জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা।’বিএনপির ডাকা হরতাল কর্মসূচি চলাকালে ট্রেনে অগ্নিসহিংসতায় শিশুসহ চারজন নিহতের ঘটনায় এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। আসছে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ নির্বোচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের এত আগ্রহ কেন? প্রশ্নটি আপেক্ষিক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট স্টেট ও জাতিসংঘের  ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গটি এখন নিয়মিত ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকরাই এমন সুযোগ করে দিচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি ব্রিফিংয়ে তাদের প্রশ্নের কারণেই জাতিসংঘ ও ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট জবাব বা মন্তব্য করে থাকে। বৃহস্পতিবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের প্রেস সেন্টারে এদিন দস্তগীর জাহাঙ্গীর নামে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিলো- ‘যাত্রীবাহি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলোতে আমরা উদ্বিগ্ন। গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকাগামী একটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তিন বছরের এক শিশু ও নারীসহ চারজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। আপনি কি রাজনৈতিক সহিংসতা, প্রাক-সাধারণ নির্বাচনের সময় এই ধরনের অগ্নি সহিংসতার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন? এসময় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন,  ‘ভয়াবহ ওই ঘটনায় নিহতদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। আমি মনে করি, এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ঘটনায় সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।’ ওই প্রেস ব্রিফিংয়ে মুশফিকুল ফজল আনসারী নামে আরেক বাংলাদেশি সাংবাদিক ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব আসছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন করেন। তার প্রশ্নটি ছিলো-‘মিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপগুলোর রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের সরকার একটি একতরফা নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়ছে। সব বিরোধীদলকে কারাগারে রেখে আসছে ৭ জানুয়ারি এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভয়েস অব আমেরিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত দুই সপ্তাহে কারাগারে হেফাজতে থাকাকালে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরও কি আপনি একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানাবেন? নাকি গণতন্ত্রে ফিরে যেতে মহাসচিব ব্যক্তিগত কোনো উদ্যোগ নিতে পারেন? আপানি জানে, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ দেখতে জনগণ খুব ইচ্ছুক।’ এমন প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের  মুখপাত্র ডুজারিক বলেন,‘আমি আগেও আপনার এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। এমনকি আপনার উত্তরের একটি অংশ নিজেই বলেছেন। তা হলো-আমরা (জাতিসংঘ) একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছি। এটা এমন একটি নির্বাচন হতে হবে, যেখানে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন। স্পষ্টতই, নির্বাচনের পর  হয়ত আমরা কিছু বলব, তবে এখন পর্যন্ত আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ৭ | জানুয়ারির | নির্বাচন | ইস্যুতে | কথা | বলবে | জাতিসংঘ